ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ : যশোরের এসপি

প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৭

যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, অভয়নগর থানা পুলিশ হানিফ পরিবহনের একটি এসি বাস থেকে কবি সাংবাদিক ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করেছে। এরপর র‌্যাব সদস্যরা তাকে নিয়ে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করে।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ফরহাদ মজহার গাড়িতে স্বাভাবিক ছিলেন। তিনি খুলনার শিববাড়ি কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে খুলনা থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

হানিফ পরিহনের ৫০৫নং এসি কোচটি যশোরের মণিহার স্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে। এই গাড়িতে বসেই সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

তিনি জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের তথ্য অনুযায়ী অভয়নগর থানার ওসি আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে অভয়নগর থানা পুলিশ নওয়াপাড়া থেকে হানিফ পরিবহনের এসি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে। তাকে বাস থেকে নামিয়ে নেয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় র‌্যাবের টিম। র‌্যাব সদস্যরা পুলিশের কাছ থেকে তাকে নিয়ে খুুলনার উদ্দেশে রওনা দেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ফরহাদ মজহার খুলনার শিববাড়ি কাউন্টার থেকে নিজেই ঢাকার টিকিট কাটেন। গাড়িতে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন।

যাত্রীবাহী বাসটির সুপার ভাইজার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ফরহাদ মজহার তার বাসের আই-৩ সিটের যাত্রী ছিলেন। তিনি খুলনার শিববাড়ি কাউন্টার থেকে বাসে ওঠেন। বাসে উঠেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। নওয়াপাড়ার কাছাকাছি স্থান থেকে তিনি টিকিট চেক করেন। তার টিকিটে নাম লেখা ছিল মিস্টার গফুর। নওয়াপাড়ায় পৌঁছানোর পর পুলিশ তাকে গাড়ি থামাতে নির্দেশ দেয়। অভয়নগর থানা পুলিশ ফরহাদ মজহারকে বাস থেকে নামিয়ে নেয়। এরপর র‌্যাব সদস্যরাও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।

বাসের পাশের সিটের যাত্রী ঢাকার বায়িং হাউজে চাকরিরত খুলনার দৌলতপুর এলাকার বাপ্পী জানান, তিনি বাসে ওঠার সময় পাশের সিটের যাত্রী (ফরহাদ মজহার) ঘুমিয়ে ছিলেন। অল্প আলোর কারণে তিনি চিনতে পারেননি। তবে পুলিশ যখন তাকে বাস থেকে নামিয়ে নেয় তখন তিনি চিনতে পেরেছিলেন।

পাশের সিটের আরেক যাত্রী কুষ্টিয়া এলাকার শরিফুল জানান, তিনি পেশাগত কাজে খুলনার আবু নাসের হাসপাতালে এসেছিলেন। কাজ শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন। তিনি ও ফরহাদ মজহার একই কাউন্টার থেকে বাসে উঠেছেন। তিনি প্রথমেই তাকে চিনতে পেরেছেন। পরে পুলিশ ও র‌্যাব তাকে নিয়ে গেছে।

মিলন রহমান/বিএ

আরও পড়ুন