গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন এবং চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে খবর পাওয়া গিয়েছিল তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে জানা যায় ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- হালিম আকন্দ (৫০), তার স্ত্রী আসমা ওরফে পানু বেগম (৪০), ছেলে সুজন আকন্দ (১৮), সিহাব আকন্দ (৬) ও শ্যালক বাদল হাওলাদার (৪৫) ও চালক (অজ্ঞাত)। নিহতদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার খুররিয়াখালী গ্রামে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মীয় হালিম হাওলাদার জানান, ওইদিন ভোরে তার ছোট বোন আসমা বেগম ওরফে পানু তার দুই ভাগ্নে ও ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী তার ভগ্নিপতি (পানুর স্বামী) হালিম আকন্দকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে একটি প্রাইভেটকারে শরণখোলার উদ্দেশে রওনা হন।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতী নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীতমুখী সেবা গ্রীন লাইনের একটি বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী ও প্রাইভেটকার চালক নিহত হন। আহত হন বাসের ১০ যাত্রী।
খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও হাইওয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। আহতদের মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলী নূর হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে সড়কের পাশে খাদে পড়ে প্রাইভেটকারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে বাসের মধ্যে ঢুকে যায়। ফলে মরদেহ উদ্ধার করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
হুমায়ূন কবীর/এফএ/জেআইএম