লক্ষ্মীপুরে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিবের বাড়িতে হামলা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। একই সময়ে শহরের একটি হোটেলে ছাত্রদলের সাত নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাতে রামগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুর (রামগঞ্জ) আসন থেকে ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী। একই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ নিয়ে বিএনপি ও এলডিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে।
রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুর রহমান রিপন এলডিপিকে ঈদ পুনর্মিলনী না করতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ছাত্রদলের একাংশ এলডিপির সেলিমের পক্ষে অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার এলডিপি ঈদ পুনর্মিলনী করলে নাজিম উদ্দিন স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাহায্যে সেলিমের বাসায় ভাঙচুর ও ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের মারধর করান।
হামলায় আহতরা হলেন, ছাত্রদল নেতা কাউছার মাল, জাহিদ, আজিম, শাকিল, মোহাম্মদ রাজু, মিঠু ও রাবেয়া বেগম। তারা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, রামগঞ্জের বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী শেষে বের হন তিনি। কিছুক্ষণ পর যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন রাজুর নেতৃত্বে ১৫-২০জন নেতাকর্মী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে রাবেয়া বেগম নামে এক নারী আহত হন।
এ ঘটনার পর শহরের সালমা হোটেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। সেলিমের অভিযোগ সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিনের ইন্ধনে যুবলীগ নেতাকর্মীরা এ হামলা ও ভাঙচুর করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাজিম উদ্দিন বলেন, সেলিম রাজনৈতিক আলোচনায় আসার জন্য যুবলীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে নাটক সাজিয়েছেন। তার সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ নেই, তিনি আমার ফুফাতো ভাই।
এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। হামলার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজল কায়েস/এসআর/এমএস