মির্জাপুরে মহাসড়কে পুলিশের সামনেই অবাধে চলছে থ্রি-হুইলার
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পুলিশের সামনেই অবাধে চলছে নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটো রিকশা। এতে যান চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে।
হাইকোর্টের রায়, বাস মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার গত বছরের আগস্টে দেশের মহাসড়কগুলোতে কম গতির তিন চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুরে পুলিশের সামনেই দেদারছে চলছে থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটো রিকশা। যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার মাস থেকে কম গতির তিন চাকার গাড়ি মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা, সোহাগপাড়া, মিলগেট, গোড়াই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পুলিশের সামনেই ঝুঁকি নিয়ে দেদারছে চলছে থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটো রিকশা। এ কারণে মহাসড়কে ভারি যানবাহনের চালকদের গতি কমিয়ে ও ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের হেলপার আলম মিয়া বলেন, অটো রিকশা চালকরা নিয়ম নীতি না মেনেই মহাসড়কে উঠছেন। ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পাওে দুর্ঘটনা।
গাজীপুর-টাঙ্গাইল রোডের বাস চালক খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের গাড়ির গতি এমনিতেই অনেক কম থাকে। এরপর সামনে অটো রিকশা পড়লে নিয়ন্ত্রণ করার সময় তাদের গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে পেছনে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।
এ সময় মিলগেট এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল রাজু ও সোহাগপাড়া এলাকায় আনসার ভিডিপির সদস্য শাওনের কাছে ব্যস্ততম মহাসড়কে অবাধে থ্রি-হুইলার চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, কি করবো? অটো রিকশাা চালকরা দ্রæত মহাসড়কে উঠে পড়ছে। মহাসড়কের বিপুল পরিমান যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। সময় যাচ্ছে মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। অপরদিকে মহাসড়কের পাশে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। আবার মহাসড়কের উভয় পাশে থ্রি-হুইলার চলছে। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে মির্জাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে লাইনটি কেটে দেন।
এসএমএরশাদ/এমএমজেড/আরআইপি