পাকশী রেল বিভাগে এক মাসে রাজস্ব আয় ৫০ লাখ টাকা
পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগে যাত্রী সেবার মান ও রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বিভাগীয় কর্মকর্তারা ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনে কর্মকর্তা ও টিটিইদের টিকেট চেকিংয়ের মাধ্যমে শুধু এপ্রিল মাসেই রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ব্লক চেকিং অব্যাহত রাখায় কাউন্টারে টিকেট বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে,পাকশী বিভাগের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের নেতৃত্বে অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তারা নানাভাবে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ট্রেনে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ব্লক চেকিং শুরু করেন। গত এপ্রিল মাসে বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী ১শ ২২টি ট্রেনে বিনা টিকেটের যাত্রীদের টিকেট চেকিং করে ৬ হাজার ৯শ ৭টি মামলার মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার বিনা টিকেটের যাত্রীকে জরিমানাসহ টিকেট করানো হয়। এতে ভাড়া বাবদ ৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা ও জরিমানা বাবদ ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা মিলে মোট ১০ লাখ ৫২ হাজার রাজস্ব আদায় করা হয়। এছাড়া পাকশী বিভাগের ৫০ জন টিটিই গত এপ্রিল মাসে বিভিন্ন ট্রেনে চেকিং করে ৩০ হাজার ১শ ১১টি মামলার মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার টিকেটবিহীন যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া ও জরিমানা বাবদ ৩৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছেন ।
এছাড়াও ঈশ্বরদী, নাটোর, সান্তাহার, পারবর্তীপুর, পোড়াদহ, আব্দুলপুর ও রাজশাহী স্টেশনে ব্লক চেকিংয়ের মাধ্যমে ৩শ ৯৮ জন টিকেটবিহীন যাত্রীর ভাড়া ও জরিমানা বাবদ ৬১ হাজার টাকা আদায় করা হয়। স্টেশনে ব্লক চেকিং পরিচালনা অব্যাহত রাখায় কাউন্টারগুলোতে টিকেট বিক্রি বৃদ্ধি পেয়ে স্টেশনের আয় বেড়ে গেছে। তাছাড়াও বিনা টিকেটের যাত্রী প্রতিরোধকল্পে ঈশ্বরদী ও ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে জয়দেবপুর-ঢাকা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। ফলে বিনা টিকেটে যাত্রীদের দৌরাত্ম হ্রাস পেয়েছে।
পাকশী বিভাগের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. আফজাল হোসেন এসব বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যাত্রী সেবার মান ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ট্রেন ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ব্লক চেকিং অব্যাহত রয়েছে। এতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনা টিকেটে যাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এ চেকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এমজেড/পিআর