৪ দিনেও খোঁজ মেলেনি সোনাগাজীর সেই ২ যুবদলকর্মীর
ফেনীর সোনাগাজী থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চারদিন পার হলেও যুবদলকর্মী আজিজুল হক দাউদ (৩০) ও মো. ওমর ফারুক মোহনের আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি পুলিশ। এতে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের পরিবারের অভিযোগ, গত ১৭ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোনাগাজী মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) জাহাঙ্গীর আলম ও এএসআই মো. শাহাজানের নেতৃত্বে পুলিশ উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কামলা বাড়ি থেকে (মোতালেব মেম্বারের বাড়ি) থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
ফেনীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জোনায়েত কাউসার বলেন, মো. ওমর ফারুক মোহন (৩৫) নামে ফেনী সদরের এক যুবকের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। তবে মোহন ও দাউদকে আটকের কোনো খবর তার কাছে নেই। তবে তিনি বিষয়টির খোঁজ নেবেন বলে জানান।
সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন লন্ডনী বলেন, ওমর ফারুক মোহন আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের ফেনী শহর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুই সন্তানের জনক।
মোহনের বোন মনোয়ারা বেগম বলেন, আটকের আগের দিন রাতে মোহন সোনাগাজীর রামচন্দ্রপুর গ্রামের কামলা বাড়িতে তার চাচাতো বোন রওশন আরা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। তাকে আটকের খবর পেয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মামুনকে নিয়ে শনিবার থানায় যান তারা। কিন্তু সেখানে তাদের না পেলেও হাজতের সামনে তাদের ব্যবহৃত জুতা দেখতে পান।
এদিকে, আটকের পর থেকে দুই পরিবারের সদস্যরা বারবার থানার সামনে ধরনা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
দাউদের স্ত্রী আফরোজা বেগম জানান, তার স্বামী সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের সুজাউল হকের ছেলে। তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে গত ৫/৬ বছর তিনি বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন।
আটক অপরজন মোহন সম্পর্কে দাউদের মামা। মোহন দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
এ বিষয়ে জানতে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.কাজী মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নেওয়া শুরু করছেন।
জহিরুল হক মিলু/এসআর/পিআর