রাঙামাটিতে ত্রাণসহায়তার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ত্রাণসহায়তার নামে চাঁদাবাজি করে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ খোদ জেলা প্রশাসনের। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন তিনি। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙামাটির বিরাজমান পরিস্থিতির অপব্যখ্যা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ত্রাণ সংগ্রহের নামে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করছে। বিভিন্ন সংগঠন বিকাশ ও রকেট নম্বরের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী কেনার নামে অর্থ সংগ্রহ করছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় রাঙামাটিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস ও মন্তব্য প্রচার করছে। তারা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মনগড়া ও আপত্তিজনক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এটিও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এসব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। আবারও নতুন করে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৫০০ টন ত্রাণের চাল মজুদ রয়েছে। এসব বরাদ্দে আরও এক মাস সহায়তা দেয়া যাবে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ মানুষ বাড়িঘর না থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তাদেরকে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা ও নিরাপদ পানি সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ত্রাণ সহায়তা দিতে চাইলে খাদ্য সহায়তা বা পুরনো কাপড় না দিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নগদ অর্থ প্রদানের অনুরোধ করা হচ্ছে। এ জন্য মানবিক সাহায্য সংক্রান্ত একটি তহবিল গঠন করে ইসলামী ব্যাংকের রাঙামাটি শাখায় হিসাব খোলা হয়েছে।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/আরএআর/আরআইপি