অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধির পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গাপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক প্রতিনিধিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে স্থান না পেয়ে গত ৯ জুন দুর্গাপুর বাজারের একটি দোকানে শিক্ষক বাবুল মিয়াকে আটকে রেখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হলে সেখানে সিনিয়র শিক্ষক বাবুল শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনীত হন। তবে কমিটিতে স্থান না পেরে একটি প্রভাবশালী মহল শিক্ষক বাবুলকে কমিটি থেকে পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে।
পদত্যাগ করতে শিক্ষক বাবুল অপরাগতা প্রকাশ করলে গত ৯ জুন দুর্গাপুর বাজারের একটি দোকানে আটকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন হাবিবুর রহমান, মুনমুন মিয়া, তরিকুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, মওদুদ আলীসহ আরও অনেকে।
পরে ওই ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১১ জুন পাঁচজন নাম উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শিক্ষক বাবুল মিয়া।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, অ্যাডহক কমিটির যেকোনো সদস্য পদত্যাগ করলে কমিটি অকার্যকর হবে। এটা ভেবেই ওই শিক্ষক প্রতিনিধির পদত্যাগপত্রে জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।
শিক্ষক বাবুল মিয়া জানান, জোর করে স্বাক্ষর গ্রহণের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ায় ওই প্রভাবশালী মহলটি তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা কাউকে হুমকি বা জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেইনি।’
মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এখন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জিতু কবীর/আরএস/পিআর