চিকিৎসা পাচ্ছেন না ৮ হাজার আর্সেনিক আক্রান্ত রোগী
চাঁদপুরে আক্রান্ত ৮ হাজার আর্সেনিকোসিস রোগী সরকারি কোনো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। বরং আর্সেনিকমুক্ত পানির উৎসের জন্য স্থাপিত গভীর নলকূপসহ সকল প্রকল্পগুলোই ভেস্তে গেছে। অর্থাৎ বিকল হয়ে বন্ধ হয়ে আছে।
আর্সেনিকমুক্ত পানি না পেয়ে আর্সেনিকযুক্ত পানিই এখন গ্রামাঞ্চলের সাধারণ জনগণ পান করছে। এতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে আগামীতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সাধারণ জনগণ আশঙ্কা করছেন।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে প্রাপ্ত এক তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় ৮ হাজার ৪০৯ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শাহরাস্তি উপজেলায় ৫ হাজার ১৪৩ জন, হাজীগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার ১৫৫ জন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৫৪৯ জন। মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৫৩১ জন, মতলব উত্তর উপজেলায় ৪৫০ জন, কচুয়া উপজেলায় ৩৪৩ জন, চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৪৬৩ জন, হাইমচর উপজেলায় ৫৪জন। এছাড়া ৮ উপজেলায় ৫৪৯ জন সম্ভাব্য রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে।
শাহরাস্তির এলাকাবাসী কামরুজ্জামান সেন্টু জাগো নিউজকে জানান, চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ৭ হাজার গভীর নলকূপ স্থপন করা হয়েছে। এসব গভীর নলকূপ অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। মেরামত না করায় মানুষজন অগভীর নলকূপের পানি পান করছে। আবার কোনো কোনো এলাকায় বারবার আবেদন করার পরও গভীর নলকূপ দেয়া হয় নি।
সিভিল সার্জন ডা. মতিউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, আর্সেনিকোসিস রোগের কোনো ওষুধ এখনও তৈরি হয়নি। তারপরও আর্সেনিক সম্পর্কে সব এলাকায় মাঠকর্মীরা গিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
এমএএস/পিআর