ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সাংবাদিক শিমুল হত্যা, ৪২ দিন পর চার্জশিট আমলে নিলেন আদালত

প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ১৩ জুন ২০১৭

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার চার্জশিট দীর্ঘ ৪২ দিন পর আমলে নিয়েছে শাহজাদপুরের আমলী আদালত। চার্জশিট আমলে নেয়ার পর বিচারক এ মামলার পলাতক ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুলাই। ওই তারিখের মধ্যে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার জন্য পুলিশের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়।

চাঞ্চল্যকর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু ও তার সহোদর হাবিবুল হক মিন্টুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া চার্জশিট মঙ্গলবার সকালে আমলে নিয়েছেন শাহজাদুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হক।

সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার বাদী তার স্ত্রী নুরুন্নাহার এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পুলিশের দেয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি না দিয়ে বরং সমর্থন করায় বিচারক তবেই তা আমলে নেন।

শাহজাদপুর থানা পুলিশের জেনারেল রেকর্ড কিপার (জিআরও) মো. আতাউর রহমান চার্জশিট আমলে নেয়া ও পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি বিকেলে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার ২নং আসামি মিন্টু, ৮নং আসামি দুলাল হোসেন ও ৩৮নং আসামি মো. আলমগীর, যারা এরই মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালিন জামিন পেয়েছেন, তারা একই সময়ে ওই আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এ মামলায় মেয়র মিরুসহ ১১ জন সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন।

সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, শিমুল হত্যা মামলার চার্জশিট আমলে নিতেই গেল দেড়মাস, আর বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে আর যে কতদিনই বা লাগবে, তা আল্লাহই জানেন।` তিনি মামলাটি দ্রুত বিচারে হস্তান্তর করার আবারও অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি মেয়র মিরু ও তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মিরু ও তার ভাইয়ের শটগানের গুলিতে সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল থেকে পরদিন ঢাকায় নেয়ায় পথে দুপুরে মারা যান শিমুল।

ওইদিন রাতেই শিমুলের স্ত্রী মেয়র মিরু, তার ভাই মিন্টুসহ ৪০/৪২ জনের নাম উল্লেখ করে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এমএএস/পিআর