৩৩ পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার
ঝালকাঠি জেলার তৃণমূল স্তরের অসহায় অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় যেসব পরিবারের বসত ঘর করার মতো জমি আছে কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য নেই এবং যেসব পরিবার অন্যের বাড়িতে রাত কাটান এমন ৩৩টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা গৃহ নির্মাণ কাজ তত্ত্ববধায়ন করছেন। বর্তমান অর্থ বছরে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নে ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ৯শ টাকা ব্যয়ে ৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম বছর প্রতিটি ইউনিয়নে একটি পরিবারকে ১টি করে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ২,২১,৬৯৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কোন কোন ইউনিয়নে গৃহ নির্মাণ শেষ হয়েছে এবং কোন কোন ইউনিয়নে গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকার্তাদের তত্ত্বাবধানে ঘর নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে মধ্য স্বত্বভোগী ঠিকাদার রাখা হয়নি। এই ধরনের উদ্যোগে সুবিধাভোগীরা সুন্দর ঘর পেয়ে বিস্মিত হয়েছেন এবং সরকারি খরচে নিজের ঘরে থাকার স্বপ্ন কখনো দেখেননি বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পিপলিতা গ্রামের দিনমজুর কালু বাকলাই এর ঘর নির্মাণ তত্ত্বাবধান করতে যাওয়া ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ফেরদৌস জাগো নিউজকে জানান, সরকার গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্নমুখী উদ্যোগের মধ্যে এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। নির্মিত প্রতিটি ঘরের দৈর্ঘ্য ২৪ ফুট প্রস্থ ১২ ফুট এবং উচ্চতা ৮ ফুট। পাকা দেয়ালের উপরে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তার উপরে টিনের চালা দিয়ে আধা পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের সঙ্গে আধা পাকা ল্যাট্রিন ও একটি করে নলকূপ বসিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সুবিধাভোগী দিনমজুর কালু বাকলাই বলেন, বসতঘর ভেঙে যাওয়ার পর অর্থের অভাবে ঘর নির্মাণ করতে না পেরে ছেলে-মেয়ে নিয়ে প্রতিবেশী পরিবারের বারান্দায় রাত কাটাতাম। এখন নতুন ঘরে উঠে সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন সুবিধাভোগীকে ১১টি গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
এমজেড/আরআইপি