বন উজারের কারণে পাহাড়ের জীব বৈচিত্র ধবংস হচ্ছে : সন্তু লারমা
পার্বত্যাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বন উজারের কারণে পাহাড়ে জীব বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জন সংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। বুধবার সকাল ৯টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ট্যুরিজম ম্যনেজমেন্ট ও ফার্নিচার শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন উজারের কারণে যেমন পাহাড়ে জীব বৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছে। যার ফলে ভবিষ্যতে পার্বত্যাঞ্চল থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ কমে যেতে পারে। এতে করে পর্যটন শিল্প ও ট্যুরিজম ব্যবসার উপর বড় ধরণে ধ্বস নামতে পারে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, আইএলও’র ডেপুটি ডিরেক্টর গগন রাজ ভান্ডারী, বিএসইপি প্রজেক্টের সিনিয়র স্পেলেলিষ্ট ফ্রান্সিস ডি সিলভা, জেলা পরিষদ সদস্য বৃষকেতু চাকমা প্রমূখ।
সম্প্রতি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে ট্যুরিজম হস্তান্তরে সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলে অভিযোগ করে সস্তু লারমা বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ গুলোতে কি ধরনের ট্যুরিজম হস্তান্তরিত হয়েছে তা পরিষ্কার অস্পষ্ট ট্যুরিজম বিষয়টি হস্তান্তর করে কোন লাভ হবে কিনা । কারণ তাতে সংশয় থেকে যাবে।
কর্মশালায় জেলার হেডম্যান, কব্বারি, হোটেল মালিক, ফার্নিচার ব্যাবসায়ী, উন্নয়ন কর্মী মিলে মোট ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮আগষ্ট ঢাকায় ঢাকায় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ট্যুরিজম হস্তান্তরে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয়ের হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।