ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জে রকেট লঞ্চারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৩:২৪ এএম, ০২ জুন ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৬২টি চায়না এসএমজি, ৫টি ৭.৬২ পিস্তল, ২টি রকেট লাঞ্চার, ৪৯টি মর্টারশেল, ২টি ওয়ারলেস, ১৫শ ২৭ পিছ গুলি, ৬০টি ম্যাকজিন, ৪৯টি গ্রেনেড ও ৪৯টি ডেটোনেটর উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ৫নং সেক্টরের ভুইয়া বাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন গুতিয়াবো এলাকার ক্যানেলে ( লেকে) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টানা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ওই সব অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করে।

অভিযান শেষে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) শহিদুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করতে একটি চক্র নাশকতার লক্ষ্যে এসব অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ রেখেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে চক্রটিকে আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্তি আইজিপি (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোরকান শিকদার, সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আব্দুল্লা আল মাসুদ, র্যাব-১ এর সিবিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার আবু হানিফ, র্যাব-১১ এর এসপি বাবুল আক্তার, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মামুনুর রশিদ প্রমুখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বাগলা এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শরীফ মিয়ার বাড়িতে বড় ধরনের অবৈধ অস্ত্র রয়েছে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ শরীফ মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে একটি এলএমজি রাইফেল উদ্ধার করে।

Gun

অভিযান পরিচালনাকালে অস্ত্রবহনকারী শরীফ পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর পরের দিন বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া এলাকা থেকে শরীফ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার শরীফ মিয়ার স্বীকারোক্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মাহমুদুল ইসলাম ও রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ৫নং নম্বর গুতিয়াবো আগারপাড়া এলাকার বালুচর থেকে প্রথমে দুটি চাইনিজ রাইফেল উদ্ধার করা হয়।

পরে দ্বিতীয় দফায় ভুইয়া বাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন ক্যানেলের (লেক) পানি থেকে পর্যায়ক্রমে ৬২টি চায়না এসএমজি, ৫টি ৭.৬২ পিস্তল, ২টি রকেট লাঞ্চার, ৪৯টি মর্টালশেল, ২টি ওয়ারলেস, ১৫২৭ পিছ গুলি, ৬০টি ম্যাকজিন, ৪৯টি গ্রেনেড ও ৪৯টি ডেটোনেটর উদ্ধার করে।

মীর আব্দুল আলীম/এফএ/এমএস

আরও পড়ুন