ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বেনাপোলে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ৩ মামলা

প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ১১ মে ২০১৫

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে রোববারের হামলার ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। রোববার দুপুর থেকে বন্দরে মালামাল ওঠানামা বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল ১১টা থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।

সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের হস্তক্ষেপে তারা কাজে যোগ দেন। সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু`দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। বেনাপোল-যশোর মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল করছে।

বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর ও স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলীর মুক্তির দাবিতে পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সোমবার সকাল থেকেই পৌরসভায় কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানান পৌর কাউন্সিলর আমিরুল ইসলাম।

নিরাপত্তার দাবিতে সোমবার সকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাস্টম হাউজের মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। পরে তারা কাস্টমস কমিশনার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শুল্কভবনের রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম খান জাগো নিউজকে জানান, রাশেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বন্দর শ্রমিকরা চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার ঘটনায় পুলিশ দু`টি এবং কাস্টমস কর্মকর্তারা একটি মামলা করেছেন। পুলিশের দু`টি মামলার বাদী এসআই জাকির হোসেন এবং কাস্টমসের মামলার বাদী রাজস্ব কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান। তিনটি মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে ইমিগ্রেশন পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জাগো নিউজকে জানান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কাউন্সিলর রাশেদ আলী, শ্রমিক ইদ্রিস আলি, রাসেল, মনিরুজ্জামান, আমিনুদ্দিন, ঘটনার সূত্রপাত যাকে নিয়ে সেই নারী শাহিদা খাতুন ও তার স্বামী আসলাম হোসাইনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। বেনাপোল বন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে  অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে যশোরের এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) ভাস্কর সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আটকদের যশোর নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বন্দরের সামনে কয়েকশ শ্রমিক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে যশোর থেকে আসা দাঙ্গা পুলিশ রোববার সন্ধ্যায় বেনাপোলের দিঘীরপাড় এলাকায় লংকাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে এলাকার দোকানদাররা জানিয়েছেন। তারা কোন কিছু না জেনে দিঘীরপাড় এলাকার রজনী ক্লিনিক ও পাশের ইমন ফার্মেসিতে ঢুকে দোকানদার ও ক্লিনিকে কর্তব্যরত সহকারীদের বেদম মারপিট করেছে। তাদের এই ঘটনায় তারা অন্তত ৪ জন সাধারণ মানুষকে আহত হয়েছেন।     

মো. জামাল হোসেন/এমজেড/আরআইপি