আপেলের মতো লিচু, ৩০০ টাকা শ
এবারও রাঙামাটিতে লিচুর উচ্চফলন হয়েছে। ফলন ও উৎপাদন ভালো হওয়ায় রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লিচু চাষ। রাঙামাটির হাটবাজারে এখন টসটসে মিষ্টি সুস্বাদু ও রসালো লিচুর ছড়াছড়ি।
তবে দেশি জাতের লিচুর মৌসুম প্রায় শেষ। এখন বাজারে আসতে শুরু করেছে চায়না-২ ও চায়না-৩। রাঙামাটির লিচু জেলার বাইরেও বাজারজাত হচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে পাহাড়ে ব্যাপক হারে বিদেশি জাতের লিচুর চাষ হচ্ছে। ফলন ও উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর। এসব লিচুর চাহিদাও বেশি। ফলে বিদেশি লিচুর আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাঙামাটিসহ পাহাড়ি এলাকায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাঙামাটির উপ-পরিচালক রমণী কান্তি চাকমা জানিয়েছেন, দেশি জাতের লিচুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে চায়না-২, চায়না-৩ জাতের লিচু। বোম্বে জাতের লিচুও রয়েছে বাজারে।
তিনি জানান, এবার মৌসুমে রাঙামাটি জেলায় যথেষ্ট পরিমাণ লিচুর আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে চায়না-৩ ও চায়না-২ জাতের। ফলনও প্রচুর।
পাহাড়ের মাটির উর্বরাশক্তি, উপযোগী আবহাওয়া এবং উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদের কারণে এখানে লিচুর উৎপাদন খুবই ভালো। রাঙামাটি জেলায় চলতি মৌসুমে লিচুর আবাদ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।
লিচু চাষিরা জানান, পাহাড়ে মোজাফ্ফরি জাতের লিচুও আবাদ হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। তিন পার্বত্য জেলায় এসব উন্নত জাতের লিচুর উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়ে উৎপাদিত টসটসে মিষ্টি সুস্বাদু রসালো লিচু চলতি মাসের শুরুতেই বাজারে আসতে শুরু করে। ফলন থাকবে জুন পর্যন্ত। এখন শহরসহ রাঙামাটির হাটবাজারে লিচুর সমাহার। উচ্চফলন হওয়ায় পাহাড়ে অধিক চাষাবাদ হচ্ছে চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতের লিচুর।
চায়না-৩ আপেলের মতো গোলাকার। সাইজে বড়। এই জাতের লিচু পাকলে রঙিন হয়। স্বাদে অতুলনীয় মিষ্টি। এর চেয়ে বড় লিচু আর হয় না। ঠিক দেখতে আপেলের মতো।
এসব লিচুর শ তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা। চায়না-২ জাতের লিচুর আকৃতিও আপেলের মতোই। তবে সাইজে কিছুটা ছোট। এই লিচুর শ আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা।
পাইকাররা জানায়, কয়েক বছর আগেও রাঙামাটিসহ পার্বত্য জেলাতে লিচু আমদানি হয়ে আসত রাজশাহী, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে। বর্তমানে পাহাড়ে উৎপাদিত লিচু বাজারজাত হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এএম/আরআইপি