কয়রায় পাউবোর বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পাউবোর গাফিলতিতে কয়রায় পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। ভেসে গেছে কয়েক কোটি টাকার মৎস সম্পদ।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ নং পোল্ডারের ঘাটাখালী গ্রামের আফতাব শেখের বাড়িসংলগ্ন পাউবো বেড়িবাঁধের স্পর্শকাতর স্থানের প্রায় ১০০ ফুটের মত জায়গা ভেঙে নদীর জোয়ারের প্রবল স্রোতে মুহূর্তেই ভাসিয়ে দেয় ঘাটাখালী, গোবরা ও গোবরা পূর্বচক এই তিন গ্রাম। তাৎক্ষণিক স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এলাকাবাসী বাঁধ সংষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
রোববার সকালে এলাকাবাসী পুনারায় বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হলে দুপুরের জোয়ারে আবারও নতুন করে আরো ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্লাবিত গ্রামগুলির মধ্যে ঘাটাখালী, হরিনখোলা, গোবরা, গোবরাপূর্বচক, দক্ষিন মদিনাবাদ, ওড়াতলা, ১নং কয়রা, ২নংকয়রা, উত্তর মদিনাবাদ, ৩নং কয়রা মাহাতো পাড়া।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম ভাঙনকবলিত স্থানে আসেন।
সাতক্ষীরা পাউবো সূত্রে জানা যায়, হরিনখোলা স্লুইজ গেট থেকে হরিনখোলা ঘাটাখালী গোবরা গ্রাম পর্যন্ত ৫০০ মিটার বেড়বাঁধ দির্ঘদিন যাবৎ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকলেও পাউবো তা মেরামত করতে উদ্যোগ নেয়নি।
বিভিন্ন মিডিয়ায় লেখালেখি ও উপজেলা সমন্বয় মিটিংসহ স্থানীয় মানুষের চাপের মুখেও গত কয়েকমাস যাবৎ পাউবো অর্থ সংকটের টালবাহানা করে। অবশেষে গত ৪ মে টেন্ডারের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থা সুশীলন ভাঙন কবলিত স্থানের কাজটি পায়। টেন্ডারের প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে অরক্ষিত অবস্থায় বাঁধ ভেঙে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী শাখার সেকশান কর্মকর্তা (এস ও) খায়রুল ইসলাম বলেন, গত ৪ মে টেন্ডারের মাধ্যমে ভাঙন কবলিত ২৫০ মিটার স্থানের কাজটি সুশীলন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায় এবং গত ১ সপ্তাহ আগে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে সাইডে এসে তাদের কাজ বুঝে দিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়া হলেও তারা সময় মত কাজ শুরু না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বিকার করে সুশিলনের দায়ীত্বপ্রাপ্ত জনৈক অহিদুজ্জামান চঞ্চল জানান, কাজটি টেন্ডারে তারা পেলেও পাউবোর অনুমতি না পাওয়ায় সময়মত কাজ শুরু করা হয়নি।
আলমগীর হান্নান/এফএ/আরআইপি