স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
বরিশালের সদর উপজেলার টুমচর এলাকায় স্বরূব আলী (৫০) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪০) ও কথিত প্রেমিক মো. কালামকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে কালামের সহযোগী (ভায়রার ছেলে) রাজিব রাঢ়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. রকিবুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত মমতাজ বেগম আদালতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে অজ্ঞান প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়।
বরিশাল জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. গিয়াস উদ্দিন কাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মমতাজ বেগম বেগম ঝাড়-ফুঁকের কাজ করতেন। সেই সুবাদে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক কালামের মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে কাজে যেতেন মমতাজ। এতে দুই জনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। স্বামী স্বরূব আলী বিষয়টি জেনে তাদের পরকীয়া প্রেমে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।
পথের কাঁটা সরাতে ২০১৫ সালের ১১ মার্চ রাতে ঘুমন্ত স্বরূর আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই রাতেই বাড়ির পাশের চতলাখালী খালের কাদামাটিতে পুঁতে রাখে আসামিরা। এই কাজে মমতাজ ও কালামকে সহযোগিতা করেন কালামের ভায়রা ছেলে রাজিব।
ওই রাতে এলাকাবাসী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরদিন ১২ মার্চ নিহতের ভাই আশরাফ আলী মৃধা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সপোর্দ করে। গ্রেফতাররা স্বরূব আলী হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেয়।
একই বছরের ২৬ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হেমায়েল কবির ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আজ এ রায় দেন।
সাইফ আমীন/এএম/জেআইএম