পরোয়ানা জারির কিছুক্ষণ পরই আদালতে শ্যামল কান্তি
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এমপি সেলিম ওসমান কর্তৃক লাঞ্ছনার শিকার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
কল্যান্দীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে প্রবেশ করেছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা নিয়ে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঘুষ গ্রহণের মামলায় বুধবার দুপুর ১টার দিকে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। মামলার শুনানির দিনে পুলিশের প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
শুনানিতে বাদীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান। শ্যামল কান্তির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, একটি প্রভাবশালী মহলকে খুশি করতে পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রতিবেদন দিয়েছে। কারণ মামলায় যে তারিখ দেয়া হয়েছিল তখন স্কুলে ছুটি চলছিল। ছুটির দিনে আমি কেন স্কুলে যাব আর কেনই বা আমাকে ঘুষ দেবে। মূলত আমি চক্রান্তের শিকার। প্রভাবশালীরা খুবই তৎপর। তাদের কারণেই আমাকে ভুগতে হচ্ছে। মার খেলাম আবার এখন মিথ্যে মামলাও খেলাম।
শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে হেয় ও হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে তাকে আত্মসমর্পণ করিয়ে ন্যায় বিচারের জন্য আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।
শাহাদাত হোসেন/এএম/পিআর