ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইজিবাইক চলাচল বন্ধ না হলে খুলনায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি

জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ০৬ মে ২০১৫

খুলনার বেবিট্যাক্সি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৭দিনের মধ্যে মহাসড়কে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান, প্রতিবাদ সমাবেশ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে সবকিছু অচল করে দেয়া হবে। বুধবার দৌলতপুরস্থ বেবিট্যাক্সি ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা পাঠ করেন দৌলতপুর খুলনা বেবিট্যাক্সি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হালিম বন্দ। যৌথভাবে দৌলতপুর খুলনা বেবিট্যাক্সি ড্রাইভার্স ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-৮৩) ও খুলনা জেলা বেবি ট্যাক্সি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-১০৬) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক হালিম বন্দ আরও বলেন, খুলনার দুইটি ইউনিয়নের অর্ন্তগত হাজার হাজার শ্রমিক দীর্ঘ ৪০-৪২ বছর ধরে সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র যানবাহন যা’ সাশ্রয় ও সুনামের সাথে রূপসা থেকে ফুলতলা পর্যন্ত চালিয়ে আসছে। কিন্তু, হঠাৎ করে  বেবিট্যাক্সি বন্ধ করে দেয়ায় দুই ইউনিয়নের ৪থেকে ৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে জীবন যাপন করছিলো। এমন সময় শ্রমিকদের পরিবারের কথা চিন্তা করে খুলনা মহানগরীর তিনজন সংসদ সদস্য যথাক্রমে বেগম মননুজান সুফিয়ান এমপি, তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি ও আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান এমপি’র ও তাদের হস্তক্ষেপে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বন্ড সই দিয়ে কোটি কোটি টাকার জামিনদার হয়ে শ্রমিকদের সহজ কিস্তির মাধ্যমে থ্রি হুইলার মাহেন্দ্র গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। মাত্র ১ লাখ টাকার ডাউন পেমেন্ট, প্রতিদিন ৬৫০ টাকা কিস্তি দিয়ে শোধ করতে হবে বছরের মধ্যে। প্রথম দিকে অল্প গাড়ি থাকায় ইজিবাইকের যন্ত্রণার পরও কিস্তির টাকা দেয়ার পর শ্রমিকরা কোনো রকমে জীবন যাপন করছিলো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, খুলনা শহরে ইজিবাইকের সংখ্যা এত বেশি হওয়ায় এবং নিয়ম নীতি না মেনে মহাসড়ক ব্যবহার করছে। অথচ খুলনা ইজিবাইকের সকল সংগঠন একত্রিত হয়ে ইজিবাইক পুনরায় চালানোর জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর কিছু শর্ত মেনে চলবো বলে সংসদ সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান মিজানের মধ্যস্তায় একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের দুই নং শর্তে ইজিবাইক চালকরা উল্লেখ করেন তারা শুধুমাত্র ফিডার রোডে তাদের যানবাহন চালাবেন। কিন্ত, তারা সকল নিয়ম কানুন ভেঙে এবং শর্তের কথা ভুলে ফিডার রোড ছেড়ে মহাসড়কে ইজিবাইক চালাচ্ছেন। হরতাল অবরোধ, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার কথা বলে মানবিক বিষয় বিবেচনা করতে আমরা বেবীট্যাক্সি শ্রমিকদের দীর্ঘ দিন ধরে শান্ত থাকতে বলি। বর্তমানে মহাসড়কের অবস্থা এত খারাপ যে শ্রমিকরা প্রতিদিনের কিস্তির ৬৫০ টাকা জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছে। কেউ কেউ অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। একজন থ্রি হুইলার মালিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতিদিন মাত্র ৬৫০ টাকা পান, অন্যদিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে একজন ইজিবাইক মালিক পান ৫০০ টাকা। ইজিবাইকের কারণে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে।

আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআই