ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ডিমলায় বখাটের কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ

প্রকাশিত: ১০:৩০ এএম, ০৬ মে ২০১৫

নীলফামারীর ডিমলায় নাউতরা বালিকা স্কুল এ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী নিরাপত্তার কারণে ১৫দিন ধরে স্কুলে যেতে পারছে না।

জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের মাঠ থেকে ইসমত আরাকে জোড়পূর্বক টেনে হিঁচড়ে পার্শ্ববতী একরামুল হকের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এসময় একরামুলের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৪)সহ বাড়িতে থাকা লোকজন ইসমত আরার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। ঘটনার পরদিন ইসমত আরার মা মমেনা বেগম ৪ জনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় অভিযোগ দেয়। কিন্তু একরামুল হক প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ রহস্যজনকভাবে নীবর ভূমিকা পালন করে।

বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, নিরাপত্তার কারণে ১৫দিন যাবত ইসমত আরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী শায়মা আক্তার ও রেখা আক্তার জানায়, বিদ্যালয় মাঠ থেকে জোড় করে ইসমত আরা আপুকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।

ইসমত আরা সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে আমার পড়াশুনা করা সম্ভব হবে না।

নাউতরা বালিকা স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হাবিব চৌধুরী জানায়, ইসমত আরা আমার বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। তার প্রতি এলাকার প্রভাবশালী একরামুলসহ তার পরিবারের লোকজন চরম অন্যায় করেছে। ইসমত আরার মায়ের মামলা করা ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে বখাটে আরিফুলসহ অন্যান্যরা ইসমত আরাসহ তার পরিবারের লোকদের প্রকাশ্যে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করায় সে স্কুলে আসতে পারছে না।

এ ব্যাপারে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সহিদুর রহমান জানায়, ঘটনাটি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে মামলা নথিভূক্ত করা হবে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হবে সে বিষয়টি তিনি বলতে রাজী হননি।

ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, বিষটি আমি অবগত নই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জাহেদুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি