রাঙামাটি এখন আনারসের বাজার
রাঙামাটি এখন আনারসের বাজার। আনারসে সয়লাব স্থানীয় হাটবাজারগুলো। আশপাশে টসটসে মিষ্টি রসালো আনারসের মো মো গন্ধ। এবার মৌসুমেও রাঙামাটিতে আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে।
বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদসহ উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে প্রতিবছর এ জেলায় আনারসের প্রচুর ফলন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় সবচেয়ে বেশি আনারসের উৎপাদন হয় নানিয়ারচরে। এদিকে চলতি মৌসুমের শুরুতেই স্থানীয় বাজার সয়লাব পাহাড়ে উৎপাদিত আনারসে। জেলার বাইরে বাজারজাত হয়ে যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ আনারস।
চাষিরা বলেন, এ বছরও রাঙামাটিতে আনারসের প্রচুর ফলন পাওয়া গেছে। শুরুতে দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। তবে সঠিক সময়ে বিক্রি করতে না পারলে প্রচুর ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। সংরক্ষণের জন্য জেলায় কোনো হিমাগার বা আড়ৎ নেই।
স্থানীয় কৃষি ম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, রাঙামাটিতে এবার মৌসুমে আনারসের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে শহরের হাটবাজারগুলোতে প্রতি আনারস বিক্রি হচ্ছে ১০-৩০ টাকায়।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রমণী কান্তি চাকমা বলেন, রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় প্রতি বছর কয়েক হাজার একর জমিতে আনারসের চাষাবাদ হয়ে থাকে। ফলন হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক।
হানিকুইন জাতের আনারস সবচেয়ে বেশি ফলে রাঙামাটি জেলায়। এ জাতের আনরসকে স্থানীয়ভাবে দেশি আনারসও বলা হয়। দেশী আনরস পাকলে খুব মিষ্টি ও রসালো। যে কারণে এ জাতের আনরসের কদরও বেশি। এছাড়া জায়েনকিউ বা সিঙ্গাপুরি আনারসের চাষও হয় এ জেলায়। এবার মৌসুমে রাঙামাটি জেলায় আনারস আবাদ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আনারসসহ পার্বত্যাঞ্চলে উৎপাদিত ফলমূল ও কৃষিজজাত পণ্য সংরক্ষণে হিমাগার থাকলে কোটি টাকার লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করা যেত। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফলমূল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে এখানকার অর্থনৈতিক চিত্র দ্রুত পাল্টে যাবে। এতে পচনশীল পণ্য নষ্ট হতো না। কৃষকরাও পেত ন্যায্য দর।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রীর কাছে পার্বত্যাঞ্চলে হিমাগার ও কৃষিভিত্তিক ফলমূল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হলেও তা বাস্তবায়নে আজও কোনো উদ্যোগ নেই।
এফএ/এমএস