ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১০ মাসে কোরআনে হাফেজ শহীদুল

প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১৩ মে ২০১৭

১০ মাসে কোরআনে কারিম হেফজ করতে সক্ষম হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোর। শরীয়তপুর সদর উপজলার চিতলীয়া ইউনিয়নে অবস্থিত কাশিপুর আদর্শ হেফজখানা থেকে ৩০ পারা কোরআনে হাফেজ হয়েছে হাফেজ মো. শহীদুল ইসলাম (১২)।

পবিত্র কোরআন শুধু আল্লাহতায়ালার প্রেরিত একটি গ্রন্থ নয়, বরং এটা একটা বড় নির্দশর বটে। আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিম নাজিল করার সঙ্গে সঙ্গে সংরক্ষণ করারও দায়িত্ব নিয়েছেন নিজে।

সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা কোরআন কারিমকে বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করছেন এবং কেয়ামত অবধি তা সংরক্ষণ করবেন। কোরআন সংরক্ষণের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে মানুষের মাধ্যমে কোরআন মুখস্থ করা। যাকে আমরা হিফজ বলি।

পৃথিবীতে যত ধর্মগ্রন্থ আছে তন্মধ্যে কেবল কোরআনই মুখস্থ করা হয়। তাই পৃথিবীতে অগণিত কোরআনের হাফেজ বিদ্যমান। কেউ এই মহাগ্রন্থ এতো অল্প সময়ে মুখস্থ করে ফেলে যে, তার রীতিমতো বিস্ময়ের হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি এক বিস্ময় ১২ বছর বয়সী কিশোর মো. শহীদুল ইসলাম।

চিতলীয়া ইউনিয়নের দাতপুর ভাষানচর গ্রামের আব্দুল সালাম সরদারের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। তার বাবা একজন দিনমজুর। বাবা-মা, ভাই-বোন সকলেই তার এমন কীর্তিতে গর্বিত।

২০০৫ সালের মে সাসে জন্ম নেয়া শহীদুল ইসলাম ২০১৬ সালের আগস্ট মাস থেকে কোরআন মুখস্থ করা শুরু করে। শুরুতে প্রতিদিন ৫-৭ পৃষ্টা করে কোরআন মুখস্থ করে উস্তাদকে শোনাতে থাকে। পরে তার আগ্রহ দেখে তার উস্তাদ ১০ পৃষ্টা করে মুখাস্থ করাতে থাকে। এভাবে ২০১৭ সালের মে মাসের মধ্যে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলে সে। তার এই বিরল প্রতিভা দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী।

হাফেজ মো. শহীদুল ইসলামের বাবা আব্দুল সালাম সরদার বলেন, আমার ছেলে ছোট থেকেই মেধাবী। তাই ওকে কাশিপুর আদর্শ হেফজখানায় পড়তে দিয়েছি। এতো তাড়াতাড়ি কোরআন মুখস্থ করবে ভাবতেও পারিনি। ছেলেটাকে বড় মাদরাসায় পড়াতে চাই। আমি গরীব মানুষ। কীভাবে যে পড়াব সেটাই চিন্তার বিষয়।

এদিকে, হাফেজ শহীদুল ইসলামের ইচ্ছা ভবিষ্যতে কোরআনের শিক্ষক ও গবেষক হওয়ার। তার ভাষ্য, আমি পড়ালেখা করে কোরআনের শিক্ষক হতে চাই। সেই সঙ্গে কোরআন নিয়ে গবেষণা করতে চাই।

sariatpore

হাফেজ শহীদুল ইসলামের উস্তাদ হাফেজ মাওলানা সিফাত মাহমুদ এই কিশোরের বিরল প্রতিভা প্রসঙ্গে বলেন, আমার শিক্ষাগত জীবনে এমন প্রতিভা ও এতো ভালো ছেলে আর দেখিনি। এমন ছাত্রকে শিখাতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি শহীদুলের মঙ্গল কামনা করছি। শহীদুল পড়ালেখায় দারুণ মনোযোগী। তাকে সঠিকভাবে গাইডলাইন দিতে পারলে ভবিষ্যতে বড় কিছু হতে পারবে। কিন্তু তার বাবা গরীব মানুষ। কৃষিকাজ করে সংসার চালায়।

হাফেজ মাওলানা সিফাত মাহমুদ আরও বলেন, যে বয়সে খেলাধুলা করার কথা, মায়ের কাছে বিভিন্ন বায়না করে কিছু চাওয়ার কথা। সে বয়সে শহীদুল হাফেজ। কোরআনে হাফেজ হতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগে। কিন্তু শহীদুল ১০ মাসে কোরআন হেফজ করেছে। আসলেই সে বিরল প্রতিভাবান।

মো. ছগির হোসেন/এএম/আরআইপি