ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রেমিকাকে বিয়ের পরই কলেজ ছাত্রের মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ০৩ মে ২০১৫

প্রেমিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করার পরপরই প্রেমিক হুমায়ুন কবির (১৮) মারা গেলেন। রোববার ভোরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালনগ্রাম মাঝাপাড়ায় তার মৃতদেহ একটি আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হুমায়ুন ওই গ্রামের কৃষক আনছারুল ইসলাম লেবুর ছেলে ও জলঢাকা আইডিয়াল কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র।

এ ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুর আড়াইটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমায়ুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ছেলের বাবা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, একই এলাকার বিদ্যুৎ মিস্ত্রী আব্দুল আজিজের মেয়ে চেওড়াডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে হুমায়ুনের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এতে মেয়েটি তিন মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ১০টার দিকে মেয়ে পক্ষের লোকজন হুমায়ুনকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর প্রথমে মারধর ও পরে জোরপূর্বক মেয়ের বাড়িতে সেই রাতেই বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়। বিয়েতে ছেলে পক্ষের কোন অভিভাবক বা আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন না।

মেয়ের বাড়ির লোকজন সাংবাদিকদের জানান ছেলে ও মেয়ে তাদের প্রেম ও দৈহিক সর্ম্পক নিজ মুখে স্বীকারের পর তাদের ইচ্ছায় বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর ভোরে ফজরের সময় হুমায়ুন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার নাম করে মেয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। সকালে খবর পাওয়া যায় গ্রামের অদূরে একটি ফাঁকা স্থানে আম গাছে হুমায়ুন গলায় দিড় দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে ছেলের বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন মেয়ে পক্ষ। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত জেলার মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/আরআই