ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
ভৈরবে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন তারই সহযোগী এক নার্স। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আতাউর রহমান। তারা দুজনই স্থানীয় আবেদীন হাসপাতালে একসঙ্গে কর্মরত ছিলেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়ি ভৈরব উপজেলার বোধনগর গ্রামে এবং অভিযোগকারী নার্সের বাড়ি একই উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামে। নার্সের দাবি, ওই চিকিৎসক দীর্ঘদিন তার সঙ্গে প্রেম করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
এরই মধ্য তিনি প্রেমিক চিকিৎসককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। গত ২১ মার্চ ওই নার্স ঘুমের ওষুধ খেয়ে চিকিৎসকরের বাসার গেটে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় ঘটনা দেখে বাসার দরজা না খুলে চিকিৎসক ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আল-আমিনকে খবর দেন। খবর পেয়ে প্যানেল মেয়র ঘটনাস্থলে এসে তাকে হাসপাতালে পাঠান।
হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে গত শনিবার রাতে ওই চিকিৎসককে অভিযুক্ত করে ভৈরব থানায় মামলা করেন। মামলার পর তিনি পলাতক বলে পুলিশ জানায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. আতাউর রহমান ও নার্স ভৈরবের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতালে একসঙ্গে কর্মরত। তাদের দুজনের বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে বলে তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়।
তারা দুজন প্রায় সময়ই রাতে একসঙ্গে ডিউটি করতেন। চাকরির সুবাধে তারা দুজন প্রেমে জড়ান। ওই নার্সের দাবি, ডাক্তারের সঙ্গে তার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। এর আগে তিনি তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। তাই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নার্স।
বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত ডা. আতাউর রহমান বলেন, ওই নার্সের আগে বিয়ে হয়েছিল। তার চরিত্র ভালো নয়। তাই তাকে তার স্বামী তালাক দিয়েছে। সে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে আমাকে বিয়ে করার জন্য মামলা করেছে।
এ বিষয়ে আবেদীন হাসপাতালের ম্যানেজার মো. শাহ জালাল বলেন, তাদের দুজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গত মাসে একদিন তারা দুজন একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া করলে তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুত করে। তবে তাদের প্রেম বা শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান নার্সের মামলার কথা স্বীকার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক আ. ছালাম বলেন, নার্সের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর, তাই তদন্ত শেষ না করা পর্যন্ত এখন সবকিছু বলা সম্ভব নয়।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এএম/জেআইএম