ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

টেকনাফ স্থলবন্দরে ৬৩ লক্ষ টাকা বেশি রাজস্ব আদায়

প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ০১ মে ২০১৫

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানির প্রধান রুট কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর। এই স্থল বন্দরে এপ্রিল মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৬৩ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে রাখাইনদের জলকেলি উৎসবের কারণে মিয়ানমারে পণ্য আমদানি আগের তুলনায় কম হলেও রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় বলে জানা গেছে।

দুই দেশের আমদানি ও রফতানি বৃদ্ধিতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ব্যবসায়ীরা। কাষ্টসম সূত্রে জানায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের এপ্রিল মাসে ১৮৮টি বিল অব অ্যান্ট্রির মাধ্যমে ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৯৩ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এতে মিয়ানমার থেকে ২৫ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৭ টাকার পণ্য আমদানি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক এ মাসে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৯৩ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।

এ মাসে শুটকি মাছ, কাঠ, হিমায়িত মাছ আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। অপরদিকে ৫৩টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ২ কোটি ৩০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৪ টাকার পণ্য রফতানি করা হয়। তবে এ মাসে মিয়ানমারে গার্মেন্টস গেঞ্জি ও গেঞ্জির কাপড়, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিক সামগ্রি রফতানি বেশি হয় বলে জানা গেছে।

টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে জানায়, এমাসে রাখাইনদের জলকেলি উৎসবের পরও আমদানি আশানুরূপ হওয়ায় রাজস্ব আদায় মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। তিনি সীমান্ত বাণিজ্য গতিশীল করতে আমদানি-রফতানি ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আরো বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এমজেড/আরআই