হাওরে মড়কের কারণ খুঁজছে ঢাবির প্রতিনিধি দল
অকাল বন্যায় ধান পচে সৃষ্ট গ্যাসে সুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে মাছ ও জলজপ্রাণীর অস্বাভাবিক মড়কের কারণ খতিয়ে দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল কাজ শুরু করেছে।
শনিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন হাওরে পানি-মরা মাছসহ জলজ জীব ও উদ্ভিদ প্রজাতির পরীক্ষ-নিরীক্ষা করা শুরু করেছেন তারা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার হাওরের পানি ও মাছ পরীক্ষা করে গেছে বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।
হাওরে মাছ ও হাঁসের মড়কের জন্য ফসলের মাঠে ব্যবহার করা কীটনাশকও একটি কারণ বলে মনে করছে এই গবেষক দল।
তারা বলছেন, বন্যার পানি ফসলের মাঠ ডুবিয়ে দেয়ায় কীটনাশক ও এসিড ছড়িয়ে পড়েছে।
হাওরের পানি পরীক্ষা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজমল হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, অন্যান্য এলাকা থেকেও এসিডিটি ও কীটনাশক পানির সঙ্গে আসতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। যার ফলে মাছের মড়ক দেখা দিয়েছে। ধানের পচা দুর্গন্ধ থেকে মানুষের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এটা সাময়িক।
দলটি আরও জানিয়েছে, জীববৈচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ আধার মাছের অভয়াশ্রম বিশ্ব ঐতিহ্য টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছ ও জলজ প্রাণী মারা গেলেও অন্য হাওরের তুলনায় তা কম। তবে হাওরের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, অসময়ে তলিয়ে যাওয়া হাওরগুলোর মধ্যে কয়েকটি হাওরে মাছ মরে ভেসে ওঠে। হাওরে ধান পচে সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসে মাছে মড়ক লাগায় গত বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জের হাওরে আগামী এক সপ্তাহের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।
রাজু আহমেদ রমজান/এফএ/জেআইএম