অযত্ন আর অবহেলায় বছরের পর বছর
প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে আংশিক নির্মাণাধীন পিরোজপুর ৩৭ নং শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অযত্নে ও অবহেলায় বছরের পর বছর পড়ে থাকায় সেটি এখন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর পিরোজপুর পৌর এলাকায় জেলা প্রশাসন থেকে ওই বিদ্যালয়ের নামে পাঁচ শতক সরকারি জমির উপর প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সে অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর ট্রাস্টের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করার জন্য চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) আহ্বায়ক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল।
পৌর শহরের সদর উপজেলা ভূমি অফিসের পূর্ব পাশের সরকারি জমিতে অর্থ প্রাপ্তির পর গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান জেলা প্রশাসক এ.কে.এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী একটি প্রকল্প কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় এলজিইডি থেকে বিদ্যালয়ের একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত ও আধা পাকা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা তৈরী করে কাজ শুরু করে কমিটি।
সরেজমিনে আরও জানা যায়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থে প্রকল্পের মাত্র সিকি ভাগ সম্পন্ন হলেও বাকি ৮০ ভাগ কাজ এখনও অসমাপ্ত। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের বিভিন্ন উপকণাদির মান অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় তাও এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। এদিকে, জেলা প্রশাসক ওই বিদ্যালয় ভবনের অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্তকরণের লক্ষ্যে অতিরিক্ত আরও ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩ টাকার আর্থিক মঞ্জুরী চেয়ে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পরিচালক শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, মিরপুর-২কে চিঠি দিয়েছেন।
তারপর প্রায় দুই বছর হতে চললেও এ ব্যাপারে শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে বিদ্যালয়টির ভবন উন্নয়নের লক্ষ্যে তড়িৎ কোন পদক্ষেপ বা অর্থ ছাড় দেয়া হয়নি। ফলে বছরের পর বছর খোলা আকাশের নীচে ঝড়, বন্যা, বৃষ্টিতে ভিজে একদিকে যেমন বিদ্যালয়টির অবকাঠমো বিনষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে, বিদ্যালয়ের ভবিষ্যত নিয়েও চরম উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এমজেড/পিআর