মুক্তিযোদ্ধার জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
শহীদ এম আবদুল আলীর মতো মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধার কারণেই আজ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহান বীরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙামাটি মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলীর উপর সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেল প্রণীত `মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বীর শহীদ এম আবদুল আলীর জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জেলাপ্রশাসক বলেন, আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে এই ধরনের প্রকাশনা জরুরী। আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলে তারা সত্যিকার দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
সোমবার সকালে শহীদ আবদুল আলী একাডেমি হল রুমে অনুষ্ঠিত প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মো. মুছা মাতব্বর, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, শহীদ এম আবদুল আলীর জামাতা এস এম কিউ কবিরুল ইসলাম কাঞ্চন ও বইয়ের লেখক ইয়াছিন রানা সোহেল।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙামাটির মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলী মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে ১৬ এপ্রিল ডিসি বাংলো ঘাটে ধরা পড়েছিলেন। এরপর ১২ দিন নির্মম নির্যাতনের পর ২৭ এপ্রিল তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মরদেহ কাপ্তাই লেকে ফেলে দেয়া হয়েছি।
আলোচনাসভা শেষে শহীদ এম আবদুল আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এমজেড/আরআইপি