ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মুফতি হান্নানের স্বজনদের ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ০৭:৩২ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৭

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর দেখা করতে তাদের স্বজনদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে বার্তা পাঠানোর পর দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনো স্বজন কারাগারে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেননি।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার খবর সোমবার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই বন্দিকে জানানো হয়েছে। অপরদিকে তাদের স্বজনদেরও কারাগারে দেখা করতে মঙ্গলবার সকালে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কেউ কারাগারে দেখা করতে আসেননি।

তিনি আরও জানান, তাদের ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। কারাগারে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চ সবকিছুই প্রস্তুত আছে। তবে কবে কখন তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে তা জানা যায়নি।

এর আগে আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচের কপি সোমবার কারাগারে পৌঁছায়।

কারাগারের সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। পরে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। সম্প্রতি ওই আবেদন নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার তাদের আবেদন নাকচের কপি সোমবার কারাগারে পৌঁছায়। এখন বিধি মোতাবেক তাদের ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানান, ওই আবেদন রিজেক্ট হওয়ার পর প্রাণভিক্ষার আবেদন করার দিন থেকে ২২ দিনের কম নয় এবং ২৮ দিনের বেশি নয় এমন সময়ের মধ্যে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করার বিধান রয়েছে।

এর আগে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ফাঁসির রায়ের রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ের অনুলিপি ২১ মার্চ রাত পৌনে ১২টার দিকে কারাগারে পৌঁছায়। পরদিন বুধবার সকাল ১০টার পর তা তাদের পড়ে শোনানো হয়। এছাড়া ওইদিন সিলেট কারাগার থেকে আসা মৃত্যু পরোয়ানাটিও রাতে তাদের পড়ে শোনোনো হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

এ গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম/আরএআর/পিআর