পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামীর লাঠির আঘাতে রিতু বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুমা শারমিন গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রিতু বেগম উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের কলুন গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ূমের মেয়ে এবং বক্তারপুর ইউনিয়নের বেরুয়া গ্রামের দিনমজুর মোবারক হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের চাচা হেমায়েত ও রাশেদ জানান, ১০ বছর আগে উপজেলার বেরুয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোবারকের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই রিতুর বিয়ে হয়। দীর্ঘ সংসার জীবনে তাদের ঘরে রিফাত নামের আট বছরের একটি ছেলে ও মাহিয়া নামের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পরে রিতু জানতে পারে একই গ্রামের এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী হাজেরা বেগমের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এতে বাধা দিলে রিতুর স্বামী তাকে প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো।
রিতুর ভাই নাজমুল জানান, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরকীয়া প্রেমের বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এর এক পর্যায় স্বামী মোবারক শক্ত কাঠ দিয়ে রিতুর মাথায় আঘাত করে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে শাশুড়ি জয়গননেছা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে রেখে পালিয়ে যান।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুমা শারমিন জানান, মাথায় প্রচণ্ড জোরে আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় রিতুর মৃত্যু হয়েছে। মাথায় এবং শরীরের নানা স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আব্দুর রহমান আরমান/আরএআর/পিআর