ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যমুনা রিসোর্ট সিলগালা

প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৫

বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পূর্ব পাড়ে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক মানের অবকাশ যাপন কেন্দ্র যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের (জেআরএল) সাথে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে জেআরএল কর্তৃক ঢাকা জেলা জজ আদালতে দায়ের করা আরবিট্রেশন মিস কেসটি শুনানির শেষে আদালতের আগের দেয়া স্থিতাবস্থার আদেশ খারিজ করে দিয়েছে।

আদালতের দেয়া স্থিতাবস্থা বুধবার খারিজ হওয়ায় বিকেল ৪টার দিকে টাঙ্গাইল কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমি মো. সায়েফ জেআরএল এর লীজকৃত স্থাবর-অস্থাব সম্পত্তি সিলগালা করে তা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেন।  

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলার প্রায় এক হাজার ২০০ একর জমির ওপর আন্তর্জাতিক মানের অবকাশ যাপন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ১৯৯৯ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩০ বছর মেয়াদি জমি ও স্থাপনার লিজ নেয় যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী সেতু কর্তৃপক্ষকে ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ১৩ লাখ টাকা পরিশোধের কথা। কিন্তু ওই জমির কিছু অংশ সেনাবাহিনীর ৯৮ সংমিশ্রিত ব্রিগেড ব্যবহার করায় জেআরএল কর্তৃপক্ষ পুরো টাকা পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করে। এতে বাড়তে থাকে বকেয়া টাকার পরিমাণ। গত ১৫ বছরে যা দাঁড়িয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করা এবং চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সার্টিফিকেট অব সেটিসফেকশন (সিএস) স্বাক্ষর না করায় জেআরএল ও সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য চরম আকার ধারণ করে। সর্বশেষ সেতু কর্তৃপক্ষের ১০৪ তম বোর্ড সভায় জেআরএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১ এপ্রিল চুক্তি বাতিলের চিঠি দেওয়া হয় জেআরএল কর্তৃপক্ষকে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক (কারিগরি) রেজাউল হায়াদারকে আহ্বায়ক করে ১২ সদস্যের কমিটির কাছে ৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় লিজকৃত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা জজ আদালতে দায়ের করা আরবিট্রেশন মিস কেস করে যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। আদালত ওই সিদ্ধান্তের ওপর স্থিতাবস্থা প্রদান করে। এতে লিজকৃত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। সোমবার ধার্যকৃত শুনানি শেষে বুধবার আদালত আরবিট্রেশন মিস কেসটি খারিজের আদেশ প্রদান করে। এদিকে আরবিট্রেশন মিস কেসটি খারিজ হওয়ায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে টাঙ্গাইল কালেক্টরেটরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  ফাহমি মো. সায়েফ জেআরএল এর লীজকৃত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সিলগালা ও সিজার লিস্ট করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপেক্ষর গঠিত কমিটির নিকট বুঝিয়ে দেন।

এদিকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জেআরএলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সিলগালা করে দেয়ায় সংস্থাটিতে কর্মরত ২৯০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। জেআরএল এ কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পাওনা গত দুই মাসের সার্ভিস চার্জ ও চলতি মাসের বেতনের দাবিতে যমুনা রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার সুবির কুমার ব্যানার্জিকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এমএএস/আরআইপি