ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বগুড়ায় ঝড়ে নিহত ২

প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ২২ এপ্রিল ২০১৫

মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বগুড়া সদর ও সোনাতলা উপজেলায় দুই জন নিহত হয়েছেন। মাত্র ১৭দিনের ব্যবধানে বগুড়ায় দ্বিতীয় দফা কালবৈশাখী ঝড় হানা দিলো।

নিহতরা হলেন, বগুড়া সদর উপজেলার আশোকোলা উত্তরপাড়ার মৃত সুলতান প্রামাণিকের ছেলে বেলাল হোসেন (৫২) ও সোনাতলা উপজেলার পাকুল­্যা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত নজু কাজীর ছেলে বাদল কাজী (৫৫)। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন স্থানীয় এক ইটভাটায় নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন এবং বাদল কাজী মাছ শিকার করে সংসার নির্বাহ করতেন।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে ঝড় শুরু হয়। মাত্র তিন মিনিট এই ঝড় স্থায়ী ছিল এবং তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার। ঝড়ের কারণে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে বিদ্যুৎবিভাগ।

পাকুল­্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম লতিফুল বারী জানান, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাদল কাজী নদী থেকে মাছ শিকার করে সংসার চালাতেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি যমুনা নদীতে জাল ফেলেন। মধ্যরাতে নৌকা নিয়ে তিনি জাল তুলতে গেলে ঝড়ের কবলে পড়ে তার নৌকাটি উল্টে যায়। এতে তিনি নৌকার নিচে পড়ে মারা যান। বুধবার সকালে এলাকাবাসী তার লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে, বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, সদর উপজেলার বাঘপাড়ায় অবস্থিত লাভা ইটভাটার নৈশ প্রহরী ছিলেন বেলাল হোসেন। মঙ্গলবার রাতে ঝড়ের সময় তিনি শ্রমিকদের বিশ্রাম কক্ষে আশ্রয় নেন। এসময় ওই কক্ষের ইটের দেয়াল ধসে গেলে তিনি চাপা পড়েন। বুধবার সকালে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল রাতে বগুড়ার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ায় পুরো জেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ওই দিন ঝড়ে বাড়ির দেয়াল ও গাছ চাপা এবং নৌকা ডুবে ২০ জন মারা যান।

এসএস/এমএএস/আরআই