ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কোটবাড়ীর আস্তানায় দুই জঙ্গি ছিল : ডিআইজি

প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৭

কুমিল্লার কোটবাড়ীর একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে তিনদিন ধরে ঘিরে রাখা হয়। তলব করা হয় সোয়াট, র‌্যাব, ক্রাইম সিন, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। চালানো হয় ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’ নামে অভিযান। কিন্তু অভিযানে সেই আস্তানায় জঙ্গি নয় মিলেছে গ্রেনেড, বোমা ও সুইসাইডাল ভেস্ট। কুমিল্লার কোটবাড়ীর অদূরে দক্ষিণ বাগমারা এলাকার একটি তিন তলা বাড়ির একটি কক্ষে মিলে এসব বোমা-গ্রেনেড।

শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম। তবে ওই কক্ষে প্রচুর গ্যাস থাকায় শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে।

প্রেস বিফ্রিংয়ে ডিআইজি জানান, আমাদের নিকট তথ্য ছিল ওই কক্ষে নোয়াখালীর আনিস কিংবা আনাস (২৩) এবং রাজশাহীর রনি (২২) অবস্থান করছে। কিন্তু গত বুধবার দুপুরে র‌্যাব-পুলিশ ওই ভবন ঘিরে ফেলার আগেই হয়তো জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। তাই তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও জানান, ওই কক্ষে চারটি গ্রেনেড, পাঁচ কেজি ওজনের দুটি বোমা এবং দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট পাওয়া গেছে। কিন্তু ওই কক্ষে প্রচুর গ্যাস থাকায় এ গুলি উদ্ধার কিংবা নিষ্ক্রিয় করা যায়নি। শনিবার সকালে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসব বোমা ও গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করবেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে সোয়াট, র‌্যাব, ক্রাইম সিন ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্য, পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সেখানে পৌঁছে জঙ্গিদের অচেতন করতে পাইপের মাধ্যমে কক্ষে গ্যাস প্রবেশ করান এবং কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও প্রায় ১০০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়।

সকাল থেকে ঘটনাস্থলের পাশের প্রায় ২ কি. মি. এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এলাকার গ্যাস, বিদ্যু ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাখাওয়াত হোসেন ও কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এক জঙ্গির দেয়া তথ্য মতে গত বুধবার দুপুরে দিকে জঙ্গিদের অবস্থান সন্দেহে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা এলাকার একটি তিন তলা বাড়ির একটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে এবং ওই বাড়ির সকল ভাড়াটিয়াদের বের করে এনে বাড়িটি নিয়ন্ত্রণ নেয় র‌্যাব-পুলিশ। তলব করা হয় সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। কিন্তু তিন দিনের অভিযানে পাওয়া যায়নি কোনো জঙ্গি। ওই এলাকায় তিন দিনের এ অভিযানকে কেন্দ্র করে লোক জনের মাঝে আঙ্কক ছড়িয়ে পড়ে। সিটি নির্বাচনের কারণে বৃহস্পতিবার অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল।

কামাল উদ্দিন/আরএআর/পিআর

আরও পড়ুন