ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে প্রস্তুত সোয়াট

প্রকাশিত: ০৪:২৫ এএম, ৩১ মার্চ ২০১৭

কুমিল্লা কোটবাড়ির গন্ধমতি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। যেকোনো সময় অভিযান শুরু হবে।

ঘটনাস্থলে বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে আসা সোয়াট এর একটি টিম ছাড়াও র্যাব, ক্রাইম সিন ইউনিট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্য, পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ  আবিদ হোসেন।

এদিকে শুক্রবার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলের পাশের প্রায় ২ কি. মি. এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এ অভিযানকে কেন্দ্র করে ওই বাড়ির চারদিকে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে র্যাব-পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। ওই বাড়িতে জঙ্গিদের অবস্থান থাকায় স্থানীয় এলাকার লোকজনকে বাড়ি সংলগ্ন সড়কে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো অভিযানের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযানের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেন।

পুলিশ জানায়, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের নিকটের কাছে এক জঙ্গির দেয়া তথ্যমতে বুধবার বিকেলে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কোটবাড়ি এলাকার গন্ধমতি গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন ড্রাইভারের নির্মাণাধীন তৃতীয় তলা বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব-পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনী সদস্যরা।

তবে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিন নির্ধারিত থাকায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটকেন্দ্র সংলগ্ন ওই বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়নি। তবে এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এসময় চট্টগ্রাম থেকে আসা সোয়াট এর একটি টিম ছাড়াও র্যাব, ক্রাইম সিন ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বাড়িটির চারদিক ঘুরে দেখা হয় এবং জঙ্গিদের গ্রেফতারে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।

অপরদিকে জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকায় এক জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জঙ্গির দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে আমরা ওই বাড়িতে জঙ্গির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হই।

স্থানীয়রা জানান, তিনতলা বাড়িটির উপরতলা নির্মাণাধীন। দুই ইউনিটের ওই বাড়ির নিচতলা ও দোতলা ম্যাচ হিসেবে ৩ মাস আগে ভাড়া দেয়া হয়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে আটক জঙ্গির দেখানো মতে বুধবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ওই বাড়িটি ঘেরাও করে দরজায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করা দেয়। এদিকে ওই এলাকায় এ অভিযানকে কেন্দ্র করে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

কামাল উদ্দিন/এফএ/এমএস

আরও পড়ুন