ভোটের পর কুমিল্লার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান
কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘেরাও করা বাড়ি থেকে অন্য ভাড়াটিয়াদের নিরাপদে সরিয়ে এনেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের গন্ধমতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ড্রাইভারের তিনতলা বিশিষ্ট ওই বাড়িটি বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ঘেরাও করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন ও র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর মোস্তফা কায়জার।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকায় এক জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জঙ্গির দেয়া তথ্য বুধবার বিকেলের দিকে গন্ধমতি গ্রামের আহাম্মদ আলী ওরফে আহাম আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন ড্রাইভারের তৃতীয় তলা বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব-পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, তিন তলা বাড়িটির উপর তলা নির্মাণাধীন। দুই ইউনিটের ওই বাড়ির নিচতলা ও দোতলা ম্যাচ হিসেবে তিন মাস আগে ভাড়া দেয়া হয়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে আটক জঙ্গির দেখানো মতে বুধবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ওই বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর মোস্তফা কায়জারসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক বা একাধিক জঙ্গি এ বাড়ির নিচ তলায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়িটি ঘেরাও করার পর দোতলার ম্যাচ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২/১৩ জন ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর মোস্তফা কায়জার জানান, বৃহস্পতিবার কুসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াট ও বোমা বিশেষজ্ঞ দল আসার পর এ অভিযান শুরু হবে।
একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন কুসিকের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল।
মো.কামাল উদ্দিন/আরএআর/জেআইএম