ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কমিশন এবার বয়স্ক ভাতায়ও!

প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৭

কক্সবাজারের টেকনাফে বয়স্ক ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে কমিশন আদায়ে জাল পেতেছেন সমাজসেবা অধিদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অঘোষিত কমিশন এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে কৌশলে ভাতার একটি অংশ কেটে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সর্বত্র। কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট উচ্চমহলে লিখিত দরখাস্ত দেয়ার কথাও জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফ সমাজসেবা বিভাগ থেকে রোগী কল্যাণ সমিতি ও বয়স্ক ভাতার বই সরবরাহ, ছবি বদলানো বা ডিজিটাল করার কথা বলে অর্থ আদায় করছেন ফিল্ড সুপারভাইজার গিয়াস উদ্দিন। নিজেকে আড়াল করতে সুকৌশলে কমিশন আদায়ের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে এজেন্ট।

এজেন্টদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ার আব্দুল আমিন, সাবরাং ইউনিয়নের আশ্রায়ণ গ্রামের মগোর স্ত্রী আমিনা খাতুন, খারিয়াখালী গ্রামের নুরু সওদাগর, টেকনাফের আব্দু রাজ্জাক, আব্দুল আমিন ও টিঅ্যান্ডটি লাইনম্যান কবির।

শুধু বয়স্ক ভাতার বই এর ছবি হালনাগাদের কথা বলে অফিসের সিল প্রদান বাবদ আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। নগদ টাকা দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলনের সময় ব্যাংকে নিয়োজিত লোক টাকা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

টেকনাফের নোয়াখালীপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী রোকসানা বেগম জানান, ৫০০ টাকা দিতে না পারায় তার বই এ হালনাগাদের ছবিতে অফিসের সিল না দিয়ে ফেরত দেয়া হয়েছে। ফলে টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে টেকনাফ সমাজসেবা বিভাগের ফিল্ড সুপারভাইজার গিয়াস উদ্দিন বলেন, বয়স্ক লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য এলাকার শিক্ষিত লোকজন কাগজপত্র সঠিকভাবে লিখে দিয়ে কিছু খরচের টাকা নিচ্ছে তা শুনেছি। এখানে সমাজসেবা অফিসের কোনো হাত নেই। তিনি বয়স্ক ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও দাবি করেন।

এ দিকে হুসনে আরা ধলু নামের এক নারীর মাধ্যমে রোগী কল্যাণ তহবিলের টাকা ফিফটি ফিফটি ভাগবাটোয়ারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে সমাজসেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রীতম কুমার চৌধুরী অভিযোগের বিষয়ে জানেন না উল্লেখ করে বলেন, এসব কাজে টাকা নেয়ার কথা না। এরপরও নিয়ে থাকলে অফিসকে জানিয়ে করা হয় না। আপনি বলেছেন, খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/পিআর