ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিধবা পল্লীতে নববর্ষ উদযাপন করবে গণজাগরণ মঞ্চ

প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

সোহাগপুর গণহত্যার ঘাতক কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবার সোহাগপুর বিধবা পল্লীতে বিজয়ের আনন্দে বাংলা নববর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর বিধবাপল্লীতে যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চ। সেই শহীদ পরিবারের বিধবাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের ৫০ সদস্যের একটি দল বিধবাপল্লীতে যাবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-সন্তান-স্বজন, সম্ভ্রম হারানোয় সোহাগপুরের বিধবাদের জীবন থেকে যে হাসি-আনন্দ হারিয়ে গিয়েছিলো তারাই এখন ভাসছেন উৎসবের আনন্দে।

এদিকে, বর্ষবরণ উৎসব ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকরা আসার সংবাদে সোহাগপুর বিধবাপল্লীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা তৎপরতা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পরপরই শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ডা. ইমরান এবারের পহেলা বৈশাখ সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বিধবা ও তাদের স্বজনদের সাথে কাটানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ঘোষণা মোতাবেক তারা মঙ্গলবার বিধবাপল্লীতে যাচ্ছেন।

কেবল বর্ষবরণ উপলক্ষ্যেই নয়, ঘাতক কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের আনন্দ-তৃপ্তি ভাগাভাগি করে নিতে তারা মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহীদ পরিবারের বিধবা ও তাদের স্বজনদের সাথে সময় কাটাবেন। স্বচক্ষে দেখবেন তাদের সংসার জীবনের চিত্র।

এদিকে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের নেতৃত্বে একটি দলের বিধবা পল্লীতে আগমন উপলক্ষে ওই এলাকায় উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে পান্তা-ইলিশের। এ উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য কাকরকান্দি বাজারে নির্মাণ করা হয়েছে বর্ণাঢ্য মঞ্চ। আর ওই উৎসব প্রস্তুতিতে সহায়তা করছে স্থানীয় কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদসহ এলাকাবাসী।

সোহাগপুর শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির সভাপতি শহীদ ছফির উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের আগমন উপলক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় পান্তা-ইলিশ ভোজনসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় কাকরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ তালুকদার মুকুল জাগো নিউজকে বলেন, সোহাগপুর গ্রামের ১২০ জন পুরুষকে হত্যা ও কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ করেছিলেন ঘাতক কামারুজ্জামান। এজন্যই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। আর তাই বিধবা ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি এলাকাবাসি এখন স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছেন।

ডা. ইমরান এইচ.সরকারের আগমনের খবরে এলাকায় ইতোমধ্যেই উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম সাংবাদিকদের জানান, অফিসিয়ালি নিশ্চিত না হলেও জেনেছি পহেলা বৈশাখে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ. সরকার তার সহকর্মীদের নিয়ে সোহাগপুর বিধবা পল্লীতে আসছেন। ওই এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও  নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবশ্যই আরও বাড়ানো হবে।

এমজেড/একে /আরআই