কুসিক নির্বাচন : চলছে ডিজিটাল প্রচারণা
আগামী ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২য় নির্বাচন। ১৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। কিন্তু বসে নেই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দোয়া কামনা, কুশল বিনিময় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের নামে তারা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
প্রার্থীদের ভোটারদের কাছে ছুটে যাওয়ার ছবি তাৎক্ষণিক তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও পেইজে দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় জনমত সৃষ্টি ও ডিজিটাল প্রচারণার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সীমা ‘আঞ্জুম সুলতানা সীমা’ নামে এবং বিএনপির সাক্কু ‘প্রাণের কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও নিজস্ব পেইজ খুলেছেন।
এছাড়াও তাদের কর্মী-সমর্থক এবং স্বজনরাও নিজ নিজ আইডি থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের কর্মী সমর্থকরাও। তবে এ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নয়। প্রতিপক্ষকে বিভিন্নভাবে ঘায়েল করতে নামে-বেনামে ফেসবুক আইডি খুলে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।
অপরদিকে নিজ প্রার্থীর শতভাগ জয়ের ব্যাপারে তাদের সমর্থকরা ফেসবুকে রীতিমত ঝড় তুলেছেন।
জানা যায়, আগামী ১৫ মার্চ কুসিকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হচ্ছে। কিন্তু এরই মধ্যে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের নামে প্রতিদিন নগরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন। বিশেষ করে উভয় মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে তাদের দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই আসছেন নগরীতে।
আগাম প্রচারণা না চালাতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বার বার মৌখিক চিঠি দিয়েও মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের লাগাম টেনে ধরতে পারছেন না। তাই গত শনিবার বিকেলে মেয়র প্রার্থী সীমা ও সাক্কুকে চিঠি দিয়ে আগাম নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দেয়া হয়।
এদিকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এবছর তাদের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও পেজকে বেছে নিয়ে নিলেও এতে দেখা দিয়েছে নানা বিপত্তি। কেউ কেউ ফেসবুকের ভূয়া আইডি খুলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নানা অপপ্রচারও চালাচ্ছেন। ফেসবুকে নিজ প্রার্থীর পক্ষে শতভাগ পাসের গ্যারান্টিও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার ভাই এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পরভেজ খান ইমরান জানান, আমাদের একমাত্র অফিসিয়াল ফেসবুক-পেইজ ‘আঞ্জমু সুলতানা সীমা’ কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভ্রান্তি ছড়াতে একটি কুচক্রী মহল নানা নামে আইডি খুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আগামী ৩০ মার্চ এই প্রথমবারের ন্যায় দলীয় প্রতীকে হতে যাচ্ছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২য় নির্বাচন। তাই দেশবাসীর দৃষ্টি এখন কুমিল্লার দিকে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলই এ নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছেন।
ভোটের মাঠে সমীকরণ নিয়ে চালানো হচ্ছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে এরই মধ্যেই ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না হলেও বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু আওয়ামী লীগের অ্যাড. অধ্যক্ষ আফজল খানকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন।
কিন্তু এবার অধ্যক্ষ আফজল খানের একমাত্র মেয়ে সীমাকে বিজয়ী করতে দলের সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অনেকটা আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীনরা। তবে জয়ের বিষয়ে উভয় মেয়র প্রার্থীই আশাবাদী।
এফএ/এমএস