ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কর্মক্ষেত্রে স্বামী আমার বন্ধু

প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৭

কর্মক্ষেত্রে স্বামীই আমার বন্ধু। তার অনুপ্রেরণা আর সহযোগিতায় আমি আজ চাকরি করতে পারছি। নারীদের জীবনে সফলতা অর্জন করতে স্বামীর সহযোগিতা সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আমার স্বামী আমার সব থেকে ভালো বন্ধু।

সাতক্ষীরার নবাগত ডেপুটি জেলার পাপিয়া সুলতানা জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তার স্বামী সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান।

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে ডেপুটি জেলার পাপিয়া সুলতানা বলেন, স্বামীর সহযোগিতায় আমি এ পর্যন্ত এসেছি। অনার্স শেষ হওয়ার পর আমাদের বিয়ে হয়। স্বামীর আগ্রহেই আমার মাস্টার্স শেষ হয়েছে। লেখাপড়া শেষ করে ২০০৯ সালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে চাকরি জীবন শুরু। বর্তমানে দু্ই মেয়ে তপস্যা ও প্রত্যাশা আর এক ছেলে প্রত্যয়কে নিয়ে আমাদের সুখের সংসার।

Tuhin-Kanti

পাপিয়া সুলতানা বলেন, আমার বাবাও জেল ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন। বাবারও ডেপুটি জেলার থেকে চাকরি জীবন শুরু হয়। আমারও শুরু হয়েছে ডেপুটি জেলার হিসেবে। বাবার বদলির কারণে আমাকে বহু স্কুল বদলাতে হয়েছে। এজন্য একটু সমস্যায়ও পড়তে হয়েছে বিভিন্ন সময়। সেসব মেনে নিয়েই শেষ হয়েছে শিক্ষাজীবন।

স্বামীর উৎসাহ আর সহযোগিতায় চাকরি ও পারিবারিক জীবনে আমি খুব সুখী। জাগো নিউজের সঙ্গে সফল এ নারী তার জীবনের গল্প এভাবেই বর্ণনা করেন।

ডেপুটি জেলার পাপিয়া সুলতানার স্বামী একই কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খানের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি বলেন, নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই। সে শিক্ষিত মেয়ে। এই শিক্ষাকে কাজে লাগানোর জন্য তাকে আমি চাকরির জন্য স্বাধীনতা দিয়েছি।

Tuhin-Kanti

তিনি আরও বলেন, স্বামী-স্ত্রী এক জায়গায় থাকলে তারা একে অন্যের দেখাশুনা ও কাজে সহায়তা করতে পারে। সন্তানদের লালন-পালন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে। স্বামী-স্ত্রী দুইস্থানে চাকরি করে সন্তানদের দেখাশুনা করা খুব কঠিন। সরকার এখন নতুন আইন করেছে যে, স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

স্ত্রী ডেপুটি জেলার, আপনি জেলার কর্মক্ষেত্রে বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ডেপুটি জেলার হিসেবে তার সব কাজের স্বাধীনতা রয়েছে ও আমার সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে।

এমএএস/এএম

আরও পড়ুন