পুলিশের ওপর হামলা : পুরুষ শূন্য তিন গ্রাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে ইসলামী জলসা থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে তিনটি গ্রাম। গ্রামগুলো হলো, তিলোকী, সূরানপুর ও বীরেশ্বরপুর। এ ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসমাইল হোসেন নামে এক সাবেক মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
অন্যদিকে যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে এলাকার মানুষ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভোলাহাট থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক খান।
জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলার তিলোকী নামকস্থানে সোমবার সন্ধ্যায় অনুমতি না নিয়ে স্থানীয় লোকজন ইসলামী জলসার আয়োজন করে। জলসায় সরকার বিরোধী বক্তব্য দেয়া শুরু হলে ভোলাহাট থানা পুলিশ রাত একটার দিকে বাধা দেয়। এসময় জলসা থেকে পুলিশের ওপর লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে দুই এসআইসহ ৮ জন আহত হন।
এঘটনায় ওই রাতেই ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ থেকে দুইশ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
জড়িতদের গ্রেফতারে যৌথবাহিনী রাতে ভোলাহাট উপজেলার তিলোকী, সূরানপুর ও বীরেশ্বরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাবেক ইউপি মেম্বার ইসমাইল হোসেনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় ২০-২৫টি বাড়িতে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে পুরুষ শূন্য এলাকার নারীরা।
তাদের অভিযোগ, গভীর রাতে যৌথবাহিনী সুরানপুর গ্রামে আব্দুর রউফ, জাহিরুল ইসলাম, তিলোকী গ্রামের তাজামুল হক, কাবিরা বেগম, রফিকুল ইসলাম, হামেদা বেগম, রহিমা বেওয়া, রাশেদা বেগম, রেহেনা বেগমসহ প্রায় ২০-২৫টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগটি সঠিক নয়। অনেক সময় অপরাধীরা নিজেদের বাঁচাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর ওপর দোষ চাপিয়ে থাকে। হয়তো এটা তাদের সেই অপকৌশল। তবে অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসএইচএ/এমএএস/আরআই