নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার চার্জশিট দাখিল
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়।
অভিযোগ আছে, নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে তার প্রতিপক্ষকে খুন করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তদন্ত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এক ভাগে অপহরণ। অপরটি হত্যা। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন র্যাবের ১১ জন সদস্য। আর দ্বিতীয় ভাগে ছিল মরদেহ গুমের চেষ্টা। এখানে র্যাবের আটজন জড়িত ছিলেন। এর বাইরে ১৭ জন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে র্যাবের ১২ জন। বাকি পাঁচজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ নাগরিক। তিন কর্মকর্তার মধ্যে এম এম রানা শুধু অপহরণের সময় ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন। বাকি দুজন পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠা ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ১ মে আরও একজনের মরদেহ পাওয়া যায় নদীতে।
অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাত খুনের দুটি মামলায় এ পর্যন্ত র্যাবের ১৭ জন সদস্যসহ মোট ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ র্যাবের ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। বাকি ১১ জন মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ বা বেতনভূক্ত কর্মচারী। নূর হোসেন বর্তমানে কলকাতার একটি কারাগারে বন্দী আছেন।
এসএইচএ/ এমএএস/আরআইপি