বিশাল আয়োজনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নেতা নির্বাচন
বিদ্যালয় ভবনের একটি রুমে দুটি বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন পরিচালনায় রাখা হয়েছে নির্বাচন কমিশনার, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও এজেন্ট। শুধু নেই বিশৃঙ্খলা এড়াতে আনসার কিংবা পুলিশ। তবে ভোটকেন্দ্রের রুমের সামনে নিরাপত্তায় লাঠি হাতে রয়েছেন দুজন নিরাপত্তাকর্মী।
না, এসব আনুষ্ঠানিকতা কোনো জাতীয় কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরেই এত আয়োজন। আর এসব নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সবাই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলার কুলাগাছা-আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণের চিত্র এটি। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। ইউনিফর্ম পরিহিত প্রায় ১১৫ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী ভোট দিতে অপেক্ষা করছে।
কথা হয় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমা খাতুনের সঙ্গে। সে জানায়, এই নির্বাচনে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সে। তার সঙ্গে একজন প্রিসাইইডিং অফিসার ও দুজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার রয়েছেন। তারা সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য সব কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
সে আরো জানায়, তার বিদ্যালয়ে নির্বাচনে পঞ্চম শ্রেণিতে আল নাহিয়ান আদিব (৬৮ ভোট), বনানী রহমান (৪২ ভোট), চতুর্থ শ্রেণিতে বিথি খাতুন (৫৬ ভোট), প্রতাপ কুমার (৪০ ভোট) এবং তৃতীয় শ্রেণিতে রেজওয়ান সিদ্দিক (৫০ ভোট) ও রাকিবুল ইসলাম (৪৩) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
কুলাগাছা আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন পাঠান জানান, শিশুদের ভেতর গণতন্ত্রের চর্চা বিকশিত করা, নেতৃত্ব গঠন ও নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি করতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষাীর্থদের এ ভোট নেয়া হচ্ছে।
কোটচাদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জহির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার কোটচাদপুর উপজেলার ৭২টি বিদ্যালয়ে একযোগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আহমেদ নাসিম আনসারী/এফএ/জেআইএম