শজিমেকে রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত শুরু
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনদের মারপিট করে ১০০ বার কান ধরে উঠাবসা করানোর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি শজিমেকে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
তদন্ত কমিটির দল ঢাকা থেকে সড়ক পথে বগুড়ায় যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে শজিমেক হাসপাতালে সেদিনের (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঘটনা সর্ম্পকে তাদের বক্তব্য শুনেন। রোগী আলাউদ্দিনের ছেলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া আব্দুর রউফ ও তার দুইবোন তদন্ত দলের কাছে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
এছাড়াও রোগীর নিকটাত্মীয় ঘটনার সময় উপস্থিত আরো দুই ব্যক্তিরও সাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটি। এরপর তদন্ত কমিটি দুপরে শজিমেকে পৌঁছে প্রথমে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেন। পরে পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের পরিচালক, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং সিনিয়র চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিএমএ নেতৃবৃন্দ, পুলিশ কর্মকর্তা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছে থেকে পৃথক পৃথক ভাবে পুরো ঘটনা শুনেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এছাড়া যেস্থানে ঘটনা ঘটেছিল সেখানের এবং আশপাশের রোগীদের কাছে থেকেও বিস্তারিত তথ্য নেন তারা।
তদন্ত কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের পৃথকভাবে বক্তব্য শুনেছি। সাক্ষ্যগ্রহণ করেছি। এমনকি সাংবাদিকদের কাছ থেকেও বিস্তারিত জেনেছি। আমরা তদন্ত শেষ করে দ্রুত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেব। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে পর্যালোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের মেডিকেল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড এইচএমপিসি’র পরিচালক প্রফেসর ডা. এম এ রাশেদ।
শজিমেক হাসপাতালে তদন্ত কাজে সহায়তা করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মাসুদ আহসান, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. একেএম আহসান হাবিব, উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল করিম জুয়েল, বিএমএ’র জেলা সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শজিমেক হাসপাতালে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আলাউদ্দিন নামে এক রোগীর ছেলে ও ২ মেয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিছু বিক্ষুদ্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নিদের্শে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অপরদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমটি গঠন করে।
লিমন বাসার/ এমএএস/আরআইপি