বাড়ি ফিরে বদরুলের শাস্তি চাইলেন খাদিজা
সাভার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে নিজ বাড়ি সিলেটের আউশায় ফিরেছেন কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।
শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় বিমানযোগে ঢাকা থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান খাদিজা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মাশুক মিয়া। এরপর সেখান থেকে তারা সরাসরি সদর উপজেলার আউশা গ্রামের নিজবাড়িতে চলে যান।
বাড়ি ফিরে তার ওপর হামলাকারী শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের শাস্তি দাবি করেছেন খাদিজা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি চাই বদরুলের বিচার দ্রুত শেষ হোক। তার শাস্তি হোক।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তার। এর আগেও সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি খাদিজা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সাভারের সিআরপি রেডওয়ে হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআরপি মেডিকেল সার্ভিসেস উইংয়ের প্রধান চিকিৎসক সাঈদ উদ্দিন হেলাল জানিয়েছিলেন, খাদিজা পুরোপুরি সুস্থ, নিজের কাজ নিজে করতে পারছেন এবং তার স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে। দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ি যেতে পারবেন তিনি। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে খাদিজাকে আরও কয়েক বছর চিকিৎসা নিতে হবে।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় বদরুল আলমের হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কয়ারে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর খাদিজাকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়।
খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় বদরুল এখন কারাগারে রয়েছেন। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/পিআর