ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দুই সপ্তাহের জন্য রাগীব আলীর প্রতারণা মামলার রায় স্থগিত

প্রকাশিত: ০২:৪৫ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দৈনিক সিলেটের ডাকের সম্পাদক ও আলোচিত শিল্পপতি রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাই ‘মানসিক অসুস্থ’ উল্লেখ করে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহের জন্য রাগীব আলীর প্রতারণা মামলার রায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই মামলার আসামি রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাই, মেয়ে রোজিনা কাদিরসহ ছয়জন।

প্রতারণার মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরু। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোচিত মামলার শুনানি শেষে আদালত এই মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান জানান, রাগীব ছেলে আব্দুল হাইকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ উল্লেখ করে রায় স্থগিতের জন্য বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আবেদন করেন ইউসুফ খান নামের এক ব্যক্তি। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রায় পেছানোর নির্দেশনা দেন।

সেই নির্দেশনা সিলেটের মুখ্য হাকিম আদালতে এসে পৌঁছালে আদালত তা গ্রহণ করে দুই সপ্তাহের জন্য রায় ঘোষণা স্থগিত করেন। এই সময়ের মধ্যে আব্দুল হাইকে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানান তিনি।

এপিপি মাহফুজ আরো জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার রায়ের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। মামলার মোট ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রাগীব আলীর ছেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার কাফি বলেন, আব্দুল হাই মানসিকভাবে সুস্থ নন। তিনি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করার মতো অবস্থায় নেই। আমরা বিষয়টি আদালতের নজরে এনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন জানাই। বৃহস্পতিাবার বিচারপতি সৈয়দ কামরুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমদ আমাদের আবেদন আমলে নিয়ে মামলার কার্যক্রম দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দেন।
 
এই মামলায় রাগীব আলী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, তাঁর ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রোজিনা কাদির, জামাতা আবদুল কাদির, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দেওয়ান আবদুল মজিদ ও চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত। এর মধ্যে রাগীব আলী ও আব্দুল হাই জেলহাজতে, পঙ্কজ গুপ্ত ও দেওয়ান মোস্তাক মজিদ জামিনে এবং রোজিনা কাদির ও আব্দুল কাদির পলাতক রয়েছেন।

ছামির মাহমুদ/আরএআর/পিআর

আরও পড়ুন