রোহিঙ্গা নির্যাতন সত্যি বেদনাদায়ক
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি বলেছেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতির পর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ক্যাম্পে অবস্থানকারীরা তাদের ওপর ঘটে যাওয়া পৈশাচিকতার বিবরণ দিয়েছেন, যা শুনেছি তা সত্যি বেদনাদায়ক। সব তথ্য ও স্থির চিত্র নিয়ে যাচ্ছি।
আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিদর্শনের ওপর একটি রিপোর্ট জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া অমানবিকতার বিচার নিশ্চিত ও তাদের নাগরিকত্ব দাবির পক্ষে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।
কক্সবাজারে আসা লি তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
ক্যাম্পে পৌঁছে তিনি প্রথমে ১০ নারী ও ১০ পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি মিয়ানমারে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের কথা শোনেন। এরপর নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখে সামনে যিনি পড়েছেন তার সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের সচিব বাকী বিল্লাহ, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জেলা প্রশাসনসহ ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে ইয়াংঘি লি টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। দুপুর ১২টার দিকে যান টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তিনি নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি গত সোমবার চারদিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন। মূলত রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সৈন্যদের নির্যাতনের বিষয়টি সরেজমিনে শুনতেই তিনি বাংলাদেশে এ সফরে আসেন বলে জানা গেছে।
এর আগে তিনি ১২ দিন মিয়ানমার সফর করেছেন। সেখানে মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।
সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/জেআইএম