চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে ত্রাণবাহী মালয়েশিয়ান জাহাজ
মিয়ানমারে সেনা-পুলিশের নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য মলয়েশিয়া সরকারের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী কক্সবাজার থেকে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
সোমবার দুপুরের দিকে মালয়েশিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজ কক্সবাজারের মহেশখালী চ্যানেলে নোনিয়াছড়া পয়েন্টে পৌঁছে নোঙর করলেও বিকেলে তা চট্টগ্রামে ফিরে যায়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পূর্ব শিডিউল মতে ত্রাণবাহী জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কথা ছিল। কিন্তু যোগাযোগ সুবিধার্থে তা মহেশখালী চ্যানেলের নোনিয়ারছরা বিএমডাব্লিউ ঘাট পয়েন্টে সোমবার সকালের দিকে নোঙর করে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণগুলো বুঝে নিয়ে খালাস করবে জেলা প্রশাসন। কিন্তু আবারও ডিসিশন বদলানো হয়েছে। বিকেলে জাহাজটি নোঙর তুলে চট্টগ্রাম পোর্টের দিকে গেছে। সেখান থেকে মালামালগুলো খালাস করা হবে।
এর আগে এই জাহাজটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারে গিয়েছিল। এ সময় জাহাজটি মিয়ানমারের প্রতিবাদের মুখে পড়ে।
এরপরও মিয়ানমারে ৫০০ টন ত্রাণ নামিয়ে, বাকি ২ হাজার ২০০ টন ত্রাণ বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। সেই মতে, সোমবার জাহাজটি কুতুবদিয়া আসার সমুদ্রে আসার কথা ছিল এবং এসে কক্সবাজার নোঙর করার পর আবার চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে চলে যায়।
বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নোঙর করা জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে করে আনা ত্রাণসামগ্রী ট্রাকে করে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য নেয়া হবে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এসব ত্রাণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণ করবে। আইওএম’র কক্সবাজারের এক কর্মরতা নাম না প্রকাশের শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/আরআইপি