‘ছবি দেখে ভাইয়ের লাশ নিশ্চিত হয়েছি’
তরিকুল ইসলাম কচি (৩৫) নামের নড়াইলের এক যুবককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যশোরে খুন করা হয়েছে। বুধবার যশোরের রামনগর পিকনিক কর্ণার এলাকার রেললাইনের উপর থেকে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার করে আঞ্জুমানে মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করেছে। এদিন রাতে সাংবাদিকদের ক্যামারায় থাকা ছবি ও পরিহিত পোশাক দেখে লাশ সনাক্ত করেন নিহতের ভাই মেহেদী হাসান শরীফ।
নিহত তরিকুল ইসলাম কচি নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামের মকিদুর রহমান মোল্লার ছেলে।
নিহতের ভাই মেহেদী হাসান শরীফ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ৩০মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোহরাব নামের এক ব্যক্তি ভাইকে মোবাইলে ডেকে যশোরে নিয়ে আসে। এরপর ৩১ মার্চ সর্বশেষ তার ভাই স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর ১ এপ্রিল মাসুদ নামে এক ব্যক্তি দুটি নম্বর থেকে আমার (মেহেদী) কাছে ফোন করেন। ওই ফোন নম্বর থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে বুধবার রাত ৮টার মধ্যে মনিহার এলাকায় আসতে বলেন। সন্ধ্যায় আমার মা মুক্তিপণের টাকা বাবদ ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করেছে।
রাতে মণিহার এলাকায় এসে আর কাউকে পাচ্ছি না। ওই মোবাইল ফোনগুলোর নম্বর বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে শুনেছি সকালে একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার হয়েছে। সেটি বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল বিকেলে ঘোপ কবরস্থানে দাফন করেছে।
পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গের থেকে সাংবাদিকদের তোলা লাশের ছবি দেখে আমার ভাইয়ের লাশ নিশ্চিত হয়েছি। ওর (ভাই) বুকটা একটু বড় এবং পা হাটুর কাছ থেকে একটু বাঁকা। আর পরনের প্যান্ট দেখে আরও নিশ্চিত হই।
যশোর জিআরপি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ক্ষত বিক্ষত অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে ঘোপ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এমজেড/এমএস