হাতীবান্ধায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে : মামলা দায়ের
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর সেই দৃশ্য ধারণ করে মোবাইলে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে হাতীবান্ধা থানায় মামলাটি দায়ের করেছে ধর্ষিতার বাবা। সোমবার সকালে পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এদিকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ধারণের খবরে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারসহ স্থানীয় অনেকেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৮ মার্চ বিকেলে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেত দেখতে যায়। এসময় পাশের জমিতে কাজ করছিল উত্তর বিছনদই গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে নুরনবী। নুরনবী মেয়েটিকে একা পেয়ে হাতে থাকা কাস্তে দিয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য ভিডিও করে। বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে স্কুলছাত্রীকে হুমকি দেয় নুরনবী। এই ভয়ে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
এর কিছুদিন পর ধর্ষক নুরনবী ধর্ষণের সেই নগ্ন ভিডিও চিত্রটি ব্লুটুথের মাধ্যমে তার বন্ধুদের মোবাইলে ছাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে ওই স্কুলছাত্রী বাবা গত রোববার রাতে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জাগোনিউজকে বলেন, স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
এমএএস/আরআই