দশম শ্রেণির ছাত্র খুনের ঘটনায় দুই কিশোর আটক
বরিশাল নগরীতে দশম শ্রেণির ছাত্র সাইদুর রহমান হৃদয় গাজীকে (১৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনার দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
আটক শিক্ষার্থী সাইদ আবেদিন আব্দুল্লাহ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেকানিক্যাল বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্র ও নগরীর বটতলার সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে। আটক অপর কিশোর নগরীর কালুশাহ সড়কের বাসিন্দা মো. সায়েম।
নিহত হৃদয় গাজী পরেশ সাগর মাঠ সংলগ্ন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
সে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চিংগুরিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান শাহীনের একমাত্র সন্তান। জর্ডন রোডে মা-মনি কোচিং সেন্টার নামক একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া করতো হৃদয় গাজী।
মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ফরহাদ সরদার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাইদ জানিয়েছে ঘটনার সময় সাইদ ও তার বন্ধুরা মিলে হৃদয়কে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। আটক সাঈদ জিজ্ঞাসাবাদে সায়েমসহ তার ৫/৬ সহযোগীর নাম বলেছে। তাদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান আব্যাহত রয়েছে।
শহীদ আব্দুল রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া জেসমিন জানান, বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয় সকাল ১০টায়। এর কিছুক্ষণ আগে বিদ্যালয়ের অদূরে স্কুলছাত্র হৃদয় গাজীর ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাটি বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় কারা এ হামলা করেছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে ছাত্ররা কয়েকদিন আগে তার কাছে অভিযোগ করেছিল, ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে বহিরাগরা তাদের উত্ত্যক্ত করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রেম নিয়ে কিশোরদের মধ্যে বিরোধ অথবা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ইভটিজিং করার প্রতিবাদে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের সবকটি ইউনিট মাঠে নেমেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে।
সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি